1. mahadihasaninc@gmail.com : admin :
  2. hossenmuktar26@gmail.com : Muktar hammed : Muktar hammed
হাটগোপালপুর সয়াল রোড়ে মোহর আলীর বাড়ীতে মঞ্জুরের অবৈধ পলিথিন কারখানা চলছে রমরমা - dailybanglarpotro
  • October 4, 2024, 5:19 am

শিরোনামঃ
গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য প্রচার করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রাজশাহীতে মাসব্যাপী ক্ষুদ্র পণ্য বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন ছাত্র-জনতার ওপর হামলা:সাবেক এমপি কালাম কারাগারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে পিস্তল, গুলি ও মদ আটক আমার দেশ প্রত্রিকার সম্পাদকের মুক্তির দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মানববন্ধন রাজশাহীতে মসজিদ কমিটির কাছে ১৮ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রাজশাহীতে ইটভাটা থেকে কোটি টাকার ইট লুটপাটের অভিযোগ রাজশাহীতে বসে রংপুরে অফিস করেন বিটিসিএল এর জিএম-২ আব্দুল মালেক রাজশাহীর হুন্ডি মুকুল হাজার কোটি টাকার মালিক স্বপ্নের শহর বরিশালের উন্নয়ন থমকে দাঁড়িয়েছে”

হাটগোপালপুর সয়াল রোড়ে মোহর আলীর বাড়ীতে মঞ্জুরের অবৈধ পলিথিন কারখানা চলছে রমরমা

  • Update Time : Sunday, September 3, 2023
  • 114 Time View

এম.মাসুম আজাদ। বাংলাদেশ পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ২০০২ইং সালের ৮ ই জুলাই পরিবেশ অধিদপ্তর এর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে। কিন্তু নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানায় সয়লাব ঝিনাইদহের ১১ নং পদ্মাকর ইউনিয়নের হাটগোপালপুর বাজার।

প্রকাশ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ হাটগোপালপুর বাজারে অবৈধ কারখানা পরিচালিত হলেও অনেকটাই নীবর ভূমিকায় ঝিনাইদহের প্রশাসন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, এ সকল পলিথিন কারখানা চলছে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা,মাস্তান, প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তা, কথিত সাংবাদিকদের মদদে,যার কারণে বছরের পর বছর নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানায় পলিথিন উৎপাদন হলেও প্রশাসন সম্পূর্ণ নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছেন।

পদ্মাকর ইউনিয়নে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সাংবাদিকদের জানান,অবৈধ নিষিদ্ধ এই সকল পলিথিন কারখানা যারা চালাচ্ছেন তারা সবাই প্রভাবশালী,তাদের সাথে স্থানীয় কথিত সাংবাদিক, মাস্তান ও রাজনৈতিক নেতাদের যোগসূত্র রয়েছে। হাটগোপালপুর বাজারের ফার্নিচার ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান জিয়া সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই হাটগোপালপুর বাজার ও আশেপাশে বেশ কয়েকটি অবৈধ পলিথিন কারখানা দেদার্সে চলছে,মাঝে মধ্যেই দেখি প্রশাসনের লোকজন এসে এদেরকে জরিমানা করেন অনেক সময় ধরেও নিয়ে যান কিন্তু কিছু পরেই আবারো তারা পলিথিন উৎপাদন করেন, কারখানা রমরমা ভাবে চলে।

হাটগোপালপুর বাজারের আরেক জন ব্যবসায়ী হারুনার রশিদ সাংবাদিকদের জানান, মাঝে মধ্যেই দেখি বিভিন্ন সাংবাদিক ও প্রশাসনের লোকজন এসে এদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যান,এদের হাত অনেক লম্বা কেউই এদের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে না। আমরা জানি পলিথিন পোড়ালে কার্বন মনো–অক্সাইড উৎপন্ন হয়ে বাতাস দূষিত করে। পলিথিনের জন্য সমুদ্র,নদী,পুকুর, খাল বিলের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে। যেখানে সেখানে পড়ে আছে পলিথিনের পরিত্যক্ত অংশ। ময়লা–আবর্জনা ফেলার জন্যও পলিথিন ব্যবহার করা হয়। মাটিতে এটি আটকে পানি ও প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান চলাচলে বাধা দেয়। মাটিতে থাকা অণুজীবগুলোর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে না, জমির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পায় এবং শস্যের ফলন কম হয়।

বর্তমানে ভারত, চীন ছাড়াও পৃথিবীর অন্যান্য দেশে বায়োডিগ্রেবল পলিথিন প্রস্তুত করা হচ্ছে। আফ্রিকা, উগান্ডা, ইউরোপ,অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, উত্তর আমেরিকাসহ প্রায় শতাধিক দেশে রাসায়নিক পলিথিনকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে এবং তারা পচনশীল এই বায়োডিগ্রেবল পলিথিন উৎপাদন করছে। মানুষকে সচেতন ও কঠোর নির্দেশনার ফলে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাটের ব্যাগ ব্যবহার বেড়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে আইন প্রয়োগের অভাবে পলিথিন উৎপাদন এখনো হচ্ছে।

ঝিনাইদহের স্থানীয় ভুক্তভোগী জনগণ জানান,নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধে বিদ্যমান আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে এবং আইন অমান্যকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যাগ, কাপড়ের ব্যাগ, কাগজের ব্যাগ বা ঠোঙা—এসবের ব্যবহার সহজলভ্য ও সচেতনতা বাড়াতে হবে। দেশে কোনোভাবেই যেন নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদিত না হয় সেদিকে সরকারকে কঠোর হতে হবে। পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করতে সারা দেশে ক্যাম্পেইন, মাইকিং, পোস্টার, লিফলেট বিতরণ করা যেতে পারে।

ঝিনাইদহের হাটগোপালপুর বাজারে ও আবাসিক এলাকার মধ্যে কিভাবে ঝিনাইদহের পরিবেশ অধিদপ্তর এদেরকে ছাড়পত্র দিল,কিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন কারখানা চলছে রমরমা, সেই বিষয়ে ঝিনাইদহের পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালকের সাথে কথা বলতে একাধিকবার তার মুঠোফোনে ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেন নাই।

ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্থানীয় জনগণ দাবি করে বলেন অনতিবিলম্বে হাটগোপালপুরের এই সকল অবৈধ পলিথিন কারখানা সহ ঝিনাইদহের সকল নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানা সিলগালা করে অবৈধ পলিথিন কারখানার মালিকদের জেল-জরিমানা করা হোক।

পরিবেশ ক্ষতির সম্মুখীন হলে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে, তাই নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধ করা জরুরী।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category