ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি : রাজধানীর শাহজাদপুরে অবস্থিত সুবাস্তু নজর ভ্যালী মার্কেট পরিচালনা পর্ষদ এর সেক্রেটারি হারেস বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ সুবাস্তু মার্কেট ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে এই মার্কেটে দুর্নীতি করে আসছে ল্যান্ড ওনার নজর মাহমুদ এর বংশধর হারেস মিয়া,গং রা। সুবাস্তু মার্কেট নয় যেনো সুদ,মদ,আর সেমি পতিতালয় এর আখড়া। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, এই হারেস ও তার সর্বকাজের সঙ্গীরা তারই মদদে পুরোটা সুবাস্তু জুড়ে গড়ে তোলে অবৈধ সমিতির আড়ালে সুদের ব্যবসা। জোর করে সমিতির নামে সুদের সমিতি, সমিতি বললে ভুল হবে চক্রবর্তী সুদ থেকে লোন নিতে বাধ্য করে দুর্বল ব্যবসায়ীদেরকে। পরে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারলে চলে হারেস বাহিনীর তান্ডব একপ্রকার জোর করেই ব্যবসা বুঝে নিয়ে দোকান থেকে বের করে দেয়া হয় সুদে টাকা নেয়া সেই ব্যবসায়ীদের।
সুবাস্তু যেনো আরেক আয়নাঘর!! কি চলে সুবাস্তু নজর ভ্যালী মার্কেট এর আড়ালে। সরেজমিনে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে কিছুই বলতে চাননা তারা ( ব্যবসায়ীরা)। যদি সুবাস্তু মার্কেট নিয়ে কারো কাছে মুখ কেউ খোলে তাহলে তাকে তলব করে নিয়ে যাওয়া হয় সুবাস্তুর ৫ তলায় অফিস নামের সেই আয়না ঘরে। সেখানে বিভিন্নরকম টর্চার শুরু করে,শুধু টর্চার করেই ক্ষান্ত হননা,শুরু হয় দোকান নিয়ে তান্ডব যাতে করে এই তান্ডব দেখে অন্যরা মাথা চাড়া দিতে ভয় পায়। দোকানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া , দোকানের মালিক দিয়ে চলে নানা রকম হুমকি দোকান ছেড়ে দিতে বাধ্য করা ইত্যাদি ।
কি চলে সুবাস্তু মার্কেটের ভিতরে?
যা চলে তা হচ্ছ নানা রকম অনিয়ম দুর্নীতি অত্যাচার । এই মার্কেটের সার্ভিস চার্জ ছিলো কত আর এখন হয়েছে কত সেটা জানলে চোখ কপালে উঠে যাবে ৯০ টাকা স্কয়ার ফিট পর্যন্ত সার্ভিস চার্জ নিয়েছে তারা, তবুও ভয়ে কেউ কথা বলেনি। কারণ কথা বললেই ব্যবসায় আগুন।
তাছাড়া প্রতি মাসের সার্ভিস চার্জ এর সাথে অতিরিক্ত ১০০ টাকা করে ফিসাবিলিল্লাহ হিসেবে নেয়া হয় তার কোন হিসাব দিতে পারেনি তারা। ১০০ করে প্রতি মাসে প্রায় ৬০ হাজার টাকা উঠে। মার্কেটের ভিতরে খোলা দোকান, পুরো মার্কেট জুড়ে কোম্পানির এড লাগানো, মাঝেমধ্যে বাহিরে দোকান বসানো সহ বিভিন্ন দোকান থেকে বিভিন্নভাবে জরিমানার নামে ৫০০০/১০০০০/১৫০০০/২০০০০/২৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। সব মিলিয়ে এই টাকা গুলো কোথায় কার কাছে আছে কি হচ্ছে ব্যবসায়ীদের কষ্টের টাকায় জানতে হলে পড়তে থাকুন!
প্রথমেই বলতে হচ্ছে সুবাস্তু মার্কেট এর কথিত সেক্রেটারি হারেস, আগে কি ছিলো? এই হারেস ছিলো একজন গাড়ির ড্রাইভার। সেখান থেকে উঠে এসে সে আওয়ামিলীগ এর ওয়ার্ড সদস্য হিসেবে যোগ দেন সেই থেকে শুরু হয় তার উপরে উঠা তাকে আর পিছনে তাকাতে হয়নি।
কি চলে সুবস্তুর ৫ তলার অফিসে?
হারেস এর সহযোগী হিসেবে আছে সুরুজ মিঞা পিতা: সাজু মিয়া,
মনির হোসেন পিতা: নুরু মিয়া, আতাউর রহমান আতা মিয়া পিতা: ওয়াকিব মিয়া, শাহীন মিয়া পিতা: আতাউর রহমান আতা মিয়া, অনিক মিয়া পিতা : জব্বার মিয়া, নজরুল ইসলাম, রাজু আহম্মেদ , আলী, আনিস সহ আরো অনেকেই এদের সাথে জড়িত আছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এবার আসি তাদের ঠিকুজিকোষ্ঠী পর্যালোচনায় হারেস, রাজু আহম্মেদ এদের নারি ছাড়া চলেনা এরা নারিলোভী। তাই সুবাস্তুর পার্লার থেকে শুরু করে কসমেটিক দোকানের আগেই বলে রাখছি সবাই নয়, কিছু মেয়েদেরকে নিয়ে নষ্টামি করে মার্কেট এর অফিস রুমে আর বাহিরে পাহাড়ায় থাকে অফিসে কর্মরত স্টাফরা।
তাছাড়া ৫ তলায় খাবারে দোকানের ভিতরে চলে খোলামেলা সেক্স যার পার্সেন্টেজ নিচ্ছে হারেস সহ তার বাহিনী।
সাহিন মনির নিজেদের কে এখন বিএনপির নেতা বলছে আগেও নাকি তার বিএনপি ছিলো তারপর হয়েছে আওয়ামীলীগ এখন আবার তারা বিএনপি হয়েছে। স্থানীয় ভাষায় যাকে বলে সর্বদলীয় সুবিধাবাদী।
এবার আশি আনিস, আলী তারা হারেসের খাস লোক যাকে বলে পা চাটা, তারাই হচ্ছে সমিতির আড়ালে সুদের ব্যবসায়ী। আনিস সম্পর্কে কথা বলে জানতে পারি সে মারিয়া নামের পার্লারের এক বিবাহিত নারীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত তাই মারিয়া মার্কেটে একটু বেশিই উশৃংখল ভাবে চলাফেরা করে আর একটু বেশিই প্রভাব বিস্তার করে চলে।
রইলো বাকি যারা তারা সকলেই মদ আর নারীর আসরে বসেন সাথে কিছু পেয়ারের ব্যবসায়ী আছে যাদেরকে মার্কেট বন্ধের সময় এসে ডেকে নিয়ে যায় একসাথে মাস্তি করার জন্য কারণ একা একা মজা হয় না তাই মদের আসর বসানো হয় সেই মার্কেট অফিসে।
সুবাস্তু নজর ভ্যালী মার্কেটে এই পর্যন্ত যত আয় হয়েছে সবই হিসেবের বাইরে রেখেছে এই হারেস গংরা।
তাদের মার্কেট পরিচালনা করা ছাড়া আর কোন কাজ নেই অন্যকোন ইনকাম সোর্স নেই, তবুও তাদের অনেক আয়, যায়গা কিনে ফ্ল্যাট তৈরি করা বিভিন্ন যায়গা জমি ক্রয় করে রেখেছে কোথা থেকে আসে এতো টাকা?
সুবাস্তু মার্কেটের উল্টো দিকে অন্যের জমি দখল করে রেখেছে আতা মিয়া, হারেস মিয়া, শাহিন মিয়া, সুরুজ মিয়া, গং রা। এছাড়াও নামে বেনামে বিভিন্ন যায়গা দখল করে নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছে।
আওয়ামী সরকার পতনের পর বেশ কিছুদিন তারা মার্কেটের ভিতরে আসেনি। কারণ তারাই সুবাস্তু মার্কেট এর সামনে নিজেদের ছবি পোষ্টার,ফেস্টুন, ব্যানার, দিয়ে সুবাস্তু মার্কেট ঘিরে রাখতো সব সময়, মার্কেট তো নয় যেনো তাদের পার্টি অফিস। আবারও তাকে দেখা যাচ্ছে নতুন রুপে ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে ঘুরে বেড়াতে।
আরো অজানা সব তথ্য জানতে সাথেই থাকুন.. পরবর্তী পর্বে আসছে বিস্তারিত…