আহসান হাবীব স্টাফ রিপোর্টার:নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলায় অজানা রোগের সংক্রমণে পোলট্রিশিল্পে ধস নেমেছে। উপজেলার বেশ কয়েকটি ফার্মে প্রচুর মুরগি মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আতঙ্কে অনেক খামারি অপরিপক্ক মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে খামারিদের। তবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে জীবিত, মৃত ও অসুস্থ মুরগি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে রোগ সম্পর্কে।
এ অঞ্চলে ২০০০ সাল থেকে পোলট্রিশিল্পের বিকাশ ঘটতে শুরু করে। বিভিন্ন সময় চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে এ উপজেলায় গড়ে উঠে প্রায় ৫ শতাধিক পোলট্রি খামার। এ বছর তীব্র শীতে অজানা রোগে মুরগির মৃত্যু দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকেই খামার বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। উপজেলার অনেক শিক্ষিত কর্মহীনরা স্বল্প পুঁজি নিয়ে স্বপ্ন দেখছিলেন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর। কিন্তু এই অজানা রোগে সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এখন এলাকার পোলট্রিশিল্প ধ্বংসের দোরগোড়ায়। বর্তমানে এই রোগের কারণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন খামার মালিকরা।
উপজেলার চরজুবিলী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ক্ষতিগ্রস্ত খামারি আব্দুল কুদ্দুস সোহাগ বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত প্রবাসে ছিলাম এলাকায় এসে প্রায় বেকার,বেকারত্ব দূরীকরণে অগ্রণী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পোলট্রি খামার শুরু করি, শুরুর দিকে ভালো ব্যবসা হলে ও গত কয়েক ধাপে মুরগী মারা যাওয়া, বাচ্চা সিন্ডিকেট, বাজার সিন্ডিকেটসহ নানা কারণে লোকসান গুনতে হচ্ছে, গতকাল রাত থেকে আমার খামারের ১৬শত মুরগি মারা যায়, এতে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, কিভাবে ব্যাংক ঋণের টাকা পরিশোধ করবো এ নিয়ে দু-চিন্তায় আছি, ডাক্তার দেখিয়ে বিভিন্ন ঔষধ সেবন করিও শেষ রক্ষা হয়নি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফখরুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে ‘খামারগুলোতে সব সময় মনিটরিং করা হচ্ছে। খামারিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। জীবিত, মৃত ও অসুস্থ মুরগি নিয়ে প্রাণিরোগ অনুসন্ধান কেন্দ্রে পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে কোন ধরনে রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।