শেখ হাসিনাকে হত‍্যা করে বিএনপি সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়!!! এটা রহস্যময় মিথ‍্যা নাটকের নামে একটি প্রহসনে, বিএনপি তাদের কালো চেহারার উপরে চুনকাম করা পর্দায়, বাংলাদেশের জনগণকে অভিনয় করে দেখাচ্ছে। বিএনপি বলে, “আওয়ামীলীগকে এই দেশের জনগণ চায় না। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলে আওয়ামীলীগ হেরে যাবে। ”
অর্থাৎ বিএনপি এতই জনপ্রিয় যে তাদের ক্ষমতায় যেতে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন লাগবে। বিএনপির বিরুদ্ধে ইদানিং যত অভিযোগ আছে আমি সেসব উল্লেখ এই মূহুর্তে না করে ছোট্ট একটি উদাহরণ দিতে চাই।
১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ, নৌকা মার্কা প্রতীক নিয়ে, যখন নির্বাচনে গিয়েছিলেন, তখন সারাদেশে পাকিস্তানের ত‍ৎকালীন সামরিক সরকারের সেনাবাহিনী, পুলিশ, গোয়েন্দা, প্রশাসনের
কর্মকর্তা – কর্মচারী, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া, ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার, আনসার বাহিনী সাথে পাকিস্তানি সমর্থক হাজার হাজার ভোটার।
সেই ক্রান্তিলগ্নে, ভয়ংকর কালো পরিস্থিতিতে, আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের পাকিস্তানি সরকারের লেলিয়ে দেওয়া বাহিনী গুলি করে হত্যা করতো পাখির মত।
অমন সময়ে সম্পূর্ণ বিপরীত পরিবেশে, বঙ্গবন্ধুর যোগ্য নেতৃত্বে, আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা, মৃত্যু কূপ উপেক্ষা করে,সারা দেশের প্রত‍্যেকটি ভোট কেন্দ্রে, সশরীরে গিয়ে, ভোট দিয়ে, চুড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে দুর্দান্তভাবে সফল হয়েছিলেন।
অথচ বিংশ শতাব্দীর আধুনিক বিশ্বে, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, যে রাষ্ট্রে বিএনপি তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সকল সেক্টরে নিজেদের মনোনীত সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, সচিবালয়, সরকারি- বেসরকারী, স্বায়ত্বশাসিত, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায়, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় লক্ষ লক্ষ জনবল নিয়োগ দিয়েছেন। এমন একটি স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিতে প্রকাশ‍্যে দিনের আলোতে গত সংসদ নির্বাচনে বিএনপিরা নাকি ভোট কেন্দ্রে যেতেই পারেনি!!!???
তাহলে এই ব‍্যর্থতার দায় কার? ১৯৭০ সালের কালো আঁধারে আওয়ামীলীগকে পাকিস্তানের কোন শক্তিই ভোট কেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে পারে নাই। প্রশ্ন করি, এত জনপ্রিয় বিএনপি; কিন্তু কেন ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেননি? এই ব‍্যর্থতা কি বিএনপির নয়?
শুধু তাই নয়, ১৯৯৬ সালের ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, বিএনপির একদলীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, আওয়ামীলীগ যে জবাবটা দিয়েছে তা মনে আছে কি??
২০০৮ সালের ইয়াজ উদ্দিন সরকারের নির্বাচনের নীল নক্সায় মাসকে মাস আওয়ামীলীগ আন্দোলন দিয়ে সব ষড়যন্ত্র নসাৎ করে দিয়েছিল, সেই ইতিহাস অবশ্যই ভুলে যাননি।
ইতিহাস স্বাক্ষ‍্য দেয়,
বঙ্গবন্ধুর ১৯৭০ এর আওয়ামীলীগ,
শেখ হাসিনার ১৯৯৬,
২০০৮ এবং আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশের আওয়ামীলীগ এক সূত্রে গাঁথা। আওয়ামীলীগ প্রত‍্যেকবার বিজয় অর্জন করতে পেরেছিল বিপরীতে বিএনপি হেরেছিল।
এখনো বিএনপিরা বলে,
” তাদেরকে কথা বলতে দেওয়া হয় না”।
আবু সাইদ চাঁদ প্রকাশ‍্যে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চাইলো!!!
তাহলে এখানেই প্রশ্ন?
আর কত নোংরা কথা বলতে দিলে বিএনপিকে কথা বলার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে বলে প্রমাণ হবে?
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা যেমন রুমিন ফারহানা, উনি এমনভাবে কথা বলেন যেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সতী একমাত্র তিনি। তিনি টকশোতে বসে চাঁদের পক্ষে সাফাই গাইছেন অসাংবিধানিক প্রক্রিয়ায়!!! কাজেই আল্লাহ্ যেন শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী করেন এই প্রার্থনা কায়-মন বাক‍্যে করি।
যেন চাঁদের মত অগণতান্ত্রিক সন্ত্রাসী ও জঙ্গি চেতনার বিএনপিদের তথা দেশের সকল নোংরা রাজনীতির কিটদের সত‍্য তথ‍্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে, আইনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে, দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত হয়। কাজেই কথা এবং কাজে সবাই সুশীল হই।
তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আর জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রীত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মান হবেই হবে ইনশাআল্লাহ। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।