নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার ৭৫তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যা ৭.০৫ ঘটিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি এস সি ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গনে ত্রিলোক বাচিক পাঠশালা’র আয়োজনে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার জন্মজয়ন্তী ৭৫ উদযাপন করা হবে। এদিকে বরেণ্য কবির জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব নারায়ণগঞ্জ শাখার পক্ষ থেকে কবির প্রতি ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন লেখকবৃন্দ।
বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব নারায়ণগঞ্জের আহ্বায়ক কবি কাজী আনিসুল হক লিখিত বিবৃতিতে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার ৭৫তম জন্ম উৎসবে কবির দীর্ঘায়ু ও সার্বিক সফলতা কামনা করেন।
মুহম্মদ নূরুল হুদা বাংলা-ভাষা সাহিত্যে প্রথিতযশা কবি এবং অন্যতম দিকপাল। জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা’র কবিতা প্রধান উপজীব্য হলেও একই সঙ্গে তিনি ঔপন্যাসিক ও সাহিত্য-সমালোচক। সব্যসাচি এই কবি ১৯৪৯ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার জেলার পোকখালি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম হাজী মোহাম্মদ সেকান্দর সওদাগর, মাতা আঞ্জুমান আরা বেগম। তিনি ১৯৫৯ সালে পূর্ব পোকখালী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে মেধা-বৃত্তি লাভ করেন। ১৯৫৯ সালে ঈদগাঁও হাইস্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৬৫ সালে ঈদগাঁও হাইস্কুল থেকে এসএসসি (মাধ্যমিক) পরীক্ষায় (কলা বিভাগে) কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন তিনি। তিনি ১৯৬৭ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে অনার্স ও পরের বছর মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন।
জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা কবিতার পাশাপাশি লিখেছেন গদ্য, করেছেন অনুবাদ, লিখেছেন চিকিৎসা শাস্ত্র (হোমিওপ্যাথিক) নিয়ে। বাংলাভাষার পাশাপাশি ইংরেজিতেও লিখেছেন তিনি। তিনি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।
তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা শতাধিক। ১৯৮৮ সালে বাংলা কবিতায় উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য তাকে বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং ২০১৫ সালে একুশে পদক প্রদান করা হয়। এছাড়াও তিনি বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।