বেনাপোল প্রতিনিধি : যশোরের শার্শার সাড়াতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম প্রহরী সাইফুল ইসলাম সুমন কর্তৃক ৫ম শ্রেনীতে অধ্যয়নরত কোমলমতি ছাত্রীদের জোর পূর্বক যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা জানাজানি হলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচারের আশায় অভিভাবকবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না পেলে যে কোন সময় অনাকাংখিত ঘটনা ঘটতে পারে এবং ছাত্রীদের অন্য বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হবে দাবি করেন অভিভাবকেরা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলাম তার আপন ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম সুমনকে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে দপ্তরী কাম প্রহরী পদে নিয়োগ দেন। নিয়োগের পর থেকে সে কাউকে তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীদের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেওয়া ও অশালীন কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভয়ভীতি দেখিয়ে ছাত্রীদের বিভিন্ন ভাবে উত্তক্ত, জোর পূর্বক যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানি করে আসছে। এ ধরনের ঘটনা ছাত্রীরা বাড়িতে জানালে বড় ভাইকে (প্রধান শিক্ষক) বলে ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে থাকে। প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন সময়ে আপন ভাইয়ের এহেন অপরাধ জানার পরেও তাকে বাঁচিয়ে দেওয়ায় বার বার সে এ ধরণের জঘণ্য অপরাধ করে আসছে।
গত ১৮সেপ্টম্বর তারিখ সুমনের যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানির বিষয়টি এক ছাত্রী তার বাবাকে জানালে ঘটনাটি আস্তে আস্তে চাউড় হয়। এ ঘটনার পর থেকে সুমন পলাতক রয়েছে। একে একে ১২ জন অভিভাবক লিখিত ভাবে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে জানানোর পরেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় অন্যান্য অভিভাবক বৃন্দ ও এলাকাবাসী ফুঁসে ওঠে।
দপ্তরী কাম প্রহরী সাইফুল ইসলাম সুমনকে চাকরীচ্যুত ও প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলামকে অন্যত্র শাস্তিমূলক অন্যত্র বদলী করার মাধ্যমে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসবে বলে মনে করেন ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী।
তবে এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি কোন বক্তব্য দিবো না।
শার্শা থানা অফিসার ইনচার্জ এস এম আকিুলল ইসলাম বলেন, আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ন চন্দ্র পাল বলেন, এ বিষয়ে অভিভাবকেরা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নির্দেশ দিয়েছি। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।