নিজস্ব প্রতিবেদক:নাটোরের লালপুর উপজেলার ৮নং দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফার বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ তুলে স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় ঢাকা বরাবর সোমবার(২০/০৩/২৩ইং)একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অত্র ইউনিয়নের মহিলা মেম্বার সহ ১০ জন ইউপি সদস্য।যার অনুলিপি নাটোর জেলা প্রশাসক ও লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় রিসিভ করেছেন।
এ বিষয়ে দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আলতাব হোসেন বলেন,আমরা গত ২২ সালের ১৭ই জানুয়ারী ইং তারিখে ইউপি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পরে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা আমাদের ইউপি সদস্য ছাড়াই নিজের ক্ষমতা বলে,দাপট দেখিয়ে একাই সকল কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন।
তিনি আরো বলেন,সরকারি কোন প্রকল্প/বরাদ্দ আসিলে নিজের সুবিধা অনুযায়ী সুকৌশলে প্রকল্প দাখিল করেন এবং বিল উত্তোলন করেন।তখন আমরা প্রতিবাদ করলে তিনি আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে গালিগালাজ ও হুমকি প্রদর্শন করে বলে আমি কোন ইউএনও,ডিসি কিছু বুঝি না।পরিষদে আমি যা করবো তাই।
২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার টিপু সুলতান বলেন,তাহার এমন কার্যক্রমে অতিষ্ঠ হয়ে গত ১৩-০৩-২২ ইং তারিখে জেলা প্রশাসক বরাবর দূর্নীতির অভিযোগ করলে বিষয়টি ইউএনও মহোদয় মিমাংসা করে দিলেও তার দূর্নীতি থামেনি।বর্তমানে তিনি সকল ইউপি সদস্যদের সাথে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে পরিষদে আসতে নিষেধ করেছে।
তিনি আরো বলেন,৪ নম্বর ওয়ার্ডের নওপাড়া হাটে ড্রেন নির্মাণ,হাটে সিসি ক্যামেরা স্থাপন,একই রাস্তা দুইবার সংস্কার,নওপাড়া গ্রামে হারান সরদারের বাড়ি হতে হাশেমের বাড়ি,ভেল্লাবাড়ীয়া মাজার হতে হালুডাঙ্গা ২বার সংস্কার,সহ বিভিন্ন দূর্নীতির চিত্র তুলে ধরে আনুমানিক ২২,০০০০০(বাইশ লক্ষ)টাকা আত্মসাৎ করেছেন মর্মে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অন্যান্য ইউপি সদস্যরাও বলেন,আমরা যে অভিযোগ টা দায়ের করেছি তা সঠিক আমরা দ্রুত তার বিচার চাই,সেই সাথে আমাদের অত্র ইউনিয়ন পরিষদের অধিকার আমাদের মাঝে ফিরে পেতে চাই।
এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা সুলতানা বলেন,বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
এ বিষয়ে দুড়দুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।