আবু সাঈদ শাওন, (পুঠিয়া),রাজশাহী :উপজেলার প্রধান-প্রধান সড়ক দখল করে ছিলো ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ। ফলে স্বাভাবিক ভাবে যানবাহন চলাচল করেছে প্রতিদিনের মতো। এছাড়াও সরকারি অফিস,ব্যাংক,বীমা,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাটবাজার যথা নিয়মে চলছে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে সরকার পতনে চলমান এক দফা আন্দোলনের চুড়ান্ত ধাপ শুরু করেছে জামাত-বিএনপি। নির্দলয়ী সরকারের অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের লাগাতর কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে, তিন দিনের অবরোধ কর্মসুচী ঘোষনা করেছেন তারা। তবে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার কোন রাস্তায় দেখা মেলেনি জামাত-বিএনপির। অনেকেই ধারণা করছেন , জেলা বিএনপি ও উপজেলা জামায়েত ইসলামির সিনিয়র নেতাকর্মীরা গত শনিবার ঢাকায় মহা সমাবেশে যোগ দিয়ে নিজ-নিজ এলাকায় ফিরতে না-পারার কারনে তারা অবরোধ পালন করতে পারছে না।
তবে ক্ষমতাসীন দল বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল সহ দলের সিনিয়র নেতারা দাবি করেছেন, বাঘায় হরতাল পালন হবেনা। দুর পাল্লা ঢাকাগামী বাস বন্ধ থাকলেও জেলার সাথে সকল যানবহন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। এ জন্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় তারা অবরোধের প্রথম দিন মঙ্গলবার সকাল থেকে রাস্তায় রেখেছেন তাদের সহযোগী সংগঠন উপজেলা ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগকে।
সরেজমিন লক্ষ্য করা গেছে, মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় বাঘা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সেহানুর রহমান সোহাগ, মহিন,সিবলি রাব্বী ,সোহাগ, শিমুল, নিউটন ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেন চালকদের সাহস যুগিয়েছেন।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ(ইন্সেপেক্টর-তদন্ত) সবুজ রানা বলেন, জামাত-বিএনপির ডাকা অবরোধকে কেন্দ্র করে যান-মাল রক্ষর্থে বাঘার সর্বত্র যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। এ উপজেলায় অবরোধের কোন প্রভাব নেই।