রায়হান ইসলাম,রাজশাহী: রাজশাহীর পুঠিয়ায় ফসিল জমি নষ্ট করে জোরপূর্বক পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে।
পরে কৃষকদের প্রতিরোধের মুখে পুকুর খননের স্কেভেটর রেখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে চক্রটি। গত মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাত ১২ টার দিকে উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণবাটি গ্রামে এই প্রতিরোধের ঘটনা ঘটে।
এসময় ওই এলাকার পুকুর খননকারী চক্রের মূল হোতা আব্দুর রহিম শেখের ছেলে রেজাউল শেখ ও বেশ কিছু বহিরাগতদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।এ সময় বেশ কয়েক জন কৃষক আহত হয়। পরের দিন বুধবার (১৯ জুন) দুপুর ১২টার সময় কৃষ্ণবাটি গ্রামে পুকুর খননের প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধ করেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।
একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মহামারির মত তিন ফসলী জমিতে পুকুর খনন চলছে। পুকুর খননকারী চক্র বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার মাধ্যমে জমির মালিকদের কাছ থেকে স্টেম্পে স্বাক্ষর নিয়ে পুকুর খনন করে আসছে। স্টেম্প জাল স্বাক্ষরের অভিযোগ রয়েছে এই চক্রটির বিরুদ্ধে।
কৃষ্ণবাটি গ্রামবাসীর পক্ষে পুকুর খননের প্রতিবাদে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছেন আ: কাইয়ুম নামের এক কৃষক ।
কৃষক কাইয়ুম অভিযোগ করে বলেন, আমাদের এই জমিতে তিনটি ফসল হয়। গ্রামবাসী আমাদের বিলে পুকুর খনন করতে দিবেনা। কারণ আমাদের বিলের জমিতে গভীর নলকুপের মাধ্যমে সেচে দেওয়ায়, ধান, গম, ভুট্রা, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ধরনের ফলস উৎপাদন করে থাকি। আমাদের তিন ফসলী জমিতে পুকুর খনন করলে একদিকে আমরা কৃষকরা আমাদের জমি হারাবো অপর দিকে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টির মাধ্যমে অন্যান্য ফসলী জমিতে সারা বছর পনিবন্ধি হয়ে পরবে। সেই সুযোগে পুকুর খননকারী চক্রটি অন্যান্য জমি তাদের দখলে নিতে সুবিধা হবে। এটা আমারা গ্রামবাসী হতে দেবনা। এছাড়াও তিনি পুকুর খননকারী চক্রে বিরুদ্ধে প্রশাসনে সাহায্য কামনা করেছেন।
এবিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর হোসেন নির্ঝর জানান, আমরা ফসলী জমিতে পুকুর খননের বিরুদ্ধে কাজ করছি। পুকুর খননকারী চক্রটি রাতের বেলায় খনন কাজ করায় তাদের আটক করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয় না । কারণ আমরা তাদের ধরতে রাতে অভিযান পরিচালনা করতে গেলে তারা খবর পেয়ে পালিয়ে যায়। এজন্য গ্রামবাসীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে উপজেলায় একটিও পুকুর খনন করতে পারবেনা তারা। কৃষ্ণবাটি গ্রামের গ্রামবাসীর প্রতিরোধের কথা শুনে এটি একটি ভালো উদ্দ্যোগ বলেও জানান এ কর্মকর্তা ।