নিউজ ডেস্ক : রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলায় বিয়ে নিবন্ধনের জল নিকাহনামা দেওয়া তে কাজী পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তিকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজত পেরন করে।
মোহনপুর উপজেলা মো মাসুদ রানা (৩৮) এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে কাজীর পরিচয় দিয়ে আসছিল।এ মাসুদ রানা জাল বিবাহের বই নিয়ে বাল্যবিবাহ থেকে শুরু করে এক বিয়েতে দুই কাবিলনামা দেয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিল।
২০২০ সালে বাল্য বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন মাসুদ রানা কাজী প্রতারক বিয়ের খাতায় ৯৯,৯৯৯ টাকা কাবিননামায় দেনমোহর করে বিবাহ রেজিস্ট্রী করে, বর কে নিকাহনামা দেয়, এবং কন্যাকে ৪,৯৯,৯৯৯টাকার দেনমহর করে কাবিননামা দেন।
৪নং মৌগাছী ইউপি কাজী মো দুরুল হোদার সাক্ষর জাল করে বর ও কন্যাকে নিকাহনামা দেয়।
বরের পিতা মো সাইফুল ইসলাম ৪নং মৌগাছী ইউপি মো দুরুল হোদা নিকাহ রেজিস্ট্রার এর নিকট নিকাহনামা দেখানো হলে সে বলেন এই বিবাহ আমার কাছে রেজিস্ট্রী হয় নি।
এই বিষয় মোহনপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে বরের পিতা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। সি আর মামলা নং ৪৮২/২০২৩(মোহনপুর)ধারা ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৩৪দন্ডবিধি
আজ আদালতে ভুয়া কাজী মো মাসুদ রানা (৩৮)এবং কন্যা মোছা সুমাইয়া খাতুন (১৯) জামিন নিতে গেলে তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেন।
বাদী পক্ষের আইনজিবী মো আওরঙ্গজেব কাকন বলেন যে রাজশাহীতে এই রকম ভুয়া নিকাহ রেজিস্ট্রার অনেক রয়েছে।
রাজশাহী জেলা মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো আকবর আলী বলেন যে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এবং বিভিন্ন থানায় এই রকম ভুয়া কাজী অনেক রয়েছে। মৃত্যু নিকাহ রেজিস্ট্রার মো আব্দুস সাত্তার এবং মৃত্যু নিকাহ রেজিস্ট্রার মো মাহাদি হাসান ও নামে বেনামে অবৈধ ভাবে বিবাহ তালাক করে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে জনগণ হয়রানি মধ্যে পড়বে।