তাহছিন নূরী খোকন, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিতে নির্মিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়; বাংলাদেশ, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, ভারত এবং রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো ‘দ্যা আর্ট অব সোসাল চেইঞ্জস’ শীর্ষক তিনদিনব্যাপী প্রথম আন্তর্জাতিক কনফারেন্স। প্রতিদিন সকাল থেকে কনফারেন্স ৫টি ভ্যেনুতে টেকনিক্যাল সেশন শুরু হয়ে বিকেলে শেষ হয়। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম-এর সভাপতিত্বে কী-নোট স্পিচ প্রদান করেন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. পবিত্র সরকার, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. সুজিত কুমার বসু এবং ব্রাক ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আইনুন নিশাত।
দেশ-বিদেশ থেকে আগত অতিথি আলোচকগণ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আয়োজনের ভুয়সী প্রশংসা করেছেন। প্রফেসর পবিত্র সরকার বলেন, কবিগুরুর নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম কনফারেন্সটি একটি মাইলফলক হয়ে রইলো।
প্রফেসর সুজিতকুমার বসু বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম কনফারেন্স বিশ্বভারতীর চেয়ে কোন অংশেই কম ছিলনা বরং কিছু ক্ষেত্রে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত হয়েও একটি আন্তর্জাতিক পরিবেশ প্রদানে সক্ষম হয়েছে।
প্রফেসর আইনুন নিশাত বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হলো বৈশ্বিক প্রেক্ষিতে শিক্ষা ও গবেষণার পরিধিকে বিস্তৃত করা, এটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করেছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়।
এতো বড় পরিসরের আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য বক্তাগণ রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহ্ আজমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি রবীন্দ্র উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহ আজমকে অভিনন্দন জানান এবং একইসাথে বিদেশ ও দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত শিক্ষক-গবেষকগণকে শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ হচ্ছে সংস্কৃতি ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দান ভাষা, শিল্প ও সাহিত্য এই বিষয় গুলো প্রাধান্য দিতে হবে। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, সেই উদ্দেশ্য নিয়েই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি আরো বলেন, শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি ব্যাতীত একটা জাতি কখনো প্রযুক্তিতে এগোতে পারে না ও উদ্ভাবন করতে পারে না।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য ড. শাহ্ আজম প্রধান অতিথি, কী-নোট স্পিকার, শিক্ষক-গবেষকদের ধন্যবাদ জানান। তিনি ঘোষণা করেন যে, ‘এভাবে সকলের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে প্রতি বছর অনেক বড় পরিসরের কনফারেন্স আয়োজন করা সম্ভব। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে আমারণ শিক্ষার সাথে সংস্কৃতির যুথবদ্ধতায় একটি সৃজনশীল গবেষণা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তৈরি করতে চাই।
উল্লেখ্য, ১৫ জুন বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে দেশ-বিদেশের আমন্ত্রিত গবেষকরা তাদের গবেষণা উপস্থাপন করেন। কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় কনফারেন্স ‘অন দি আর্ট অব সোস্যাল চেঞ্জেস’ রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজনের ঘোষনা দেন। তিনি বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সংস্কৃতিকে উদ্ভাবন ও গবেষনামুখী করতে আমরা বদ্ধ পরিকর।