নিজস্ব প্রতিবেদক: জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট থানার বজরাটেক এলাকার সোলেমান মিয়ার পুত্র ইউসুফ আলী ওয়াকফ এস্ট্রেট এর মোত্তয়াল্লী মসিউর রহমান।
বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকার ফটো জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্যে মসিউর রহমান বলেন, বেলাল নামে এক ব্যক্তিকে ১০ বছরের জন্য পুকুর লিজ দিই। কিন্তু সেই পাঁচ বছরের মধ্যে একবারও পুকুরে আসি নাই। এ নিয়ে পরে আমার বিরুদ্ধে ভোলাহাট থানানয় পুকুরে বিষ প্রয়োগের মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলায় গত ২৩ আগস্ট থানার ওসি আমাকে ডেকে পাঠায়। তার কথামত থানায় উপস্থিত হলে ঐ মামলায় আমাকে গ্রেফতার দেখিয়ে সারারাত থানায় আটকিয়ে রাখে। সকালে আদালতে চালান করলে সেখান থেকে আমি জামিনে মুক্ত হই।
তিনি বলেন, মিথ্যে ও ভিত্তিহীন মামলায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। এছাড়া একটি অনলাইন পেজে ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ পায় যে আমার বাসায় টর্চার সেল বানিয়ে মানুষকে নির্যাতন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এটি সম্পূর্ণ বানোয়াট কথা। আমার বাসায় বাবা,দাদা দাদির কবর আছে বাগান বাড়ি আছে কোথাও কোন টর্চার সেল নেই। আমার বিরুদ্ধে বেলাল, বেলদার, হিরো ও ইদ্রিস মিথ্যা অপপ্রচার ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, অভিযোগকারী আমার ফুপাতো ভাই। ব্যবসার উদ্দেশ্যে তিন দফায় আমার নিকট থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছে সে। এ বিষয়ে তিনশত টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প এ চুক্তিপত্রও আছে আমার কাছে। ঋণের টাকা গত আমের মৌসুমে পরিশোধ করার কথা ছিলো। এর আগে জমিজমা নিয়েও তাদের সাথে আমার বিরোধ হয়েছে। তিনি বলেন, এসব বিষয় থেকে বাঁচতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দায়ের করেছে বেলাল। এর আগেও সে আমাকে নানা ভাবে হয়রানি করেছে।
তিনি আরো বলেন, আমার বাপ দাদার ওসিয়ত মোতাবেক আমি ইউসুফ আলী ওয়াকপ এস্ট্রেটের মোত্তয়াল্লী। বেলাল তার স্বার্থ হাসিলের জন্য তৃতীয় পক্ষের সহযোগীতা নিয়ে ট্রাস্ট্রের অংশিদারসহ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ ও অপপ্রচার করছে।
সংবাদ সম্মেলনে মসিউর রহমান মাসুদ এ সবের সঠিক তদন্তের দাবি করেন।