তাহছিন নূরী খোকন, শাহজাদপুর প্রতিনিধিঃ নানা নাটকীয়তার পর এবার বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। অবশেষে ভারত থেকে প্রেমের টানে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা নার্গিসা বেগম ওরফে নাইসা মল্লিক ভারতে থেকে ফেলে আসা তার স্বামী এবং শিশু সন্তানের কথা স্বীকার করেছেন। রবিবার (১১ই জুন) তার বাংলাদেশী স্বামীর বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার দুর্গানগর ইউনিয়নের বালসাবাড়ীতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ স্বীকারোক্তি দেন।
উল্লেখ্য, গত ২৪শে মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার দশনগর থানার ধারসা ছোট মল্লিক পাড়ার খয়রুল আলম মল্লিকের মেয়ে নার্গিসা বেগম ওরফে নাইসা মল্লিক সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার বালসাবাড়ি গ্রামের ইরান সরকারের ছেলে জুয়েল সরাকারের সাথে পরকীয়া প্রেমের সুত্রধরে ভারত থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।পরদিন ২৫ জুন কোর্টের মাধ্যমে তাদের বিয়ে দেন জুয়েলের পরিবারের লোকজন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুদেশেই ভাইরাল হয়। এরই মধ্যে ভারতীয় গণমাধ্যমে মেয়েটির স্বামী এবং আট বছর বয়সী সন্তান রয়েছে মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
গত বৃহস্পতিবার (৮ই জুন) এবিষয়ে নার্গিসা বেগম ওরফে নাইসা মল্লিক কাছে মোবাইলে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি তা সরাসরি অস্বীকার করে একে গুজব এবং তার বাবার কৌশল বলে উড়িয়ে দেন। বিষয়টির অধিকতর অনুসন্ধানের লক্ষ্যে রবিবার (১১জুন) দুপুরে সরেজমিনে বালসাবাড়ি জুয়েলদের বাড়িতে গিযে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা (নার্গিসা বেগম, তার স্বামী এবং শ্বশুর) সকলেই যথারীতি পূর্বের মতই নার্গিসার স্বামী সন্তানের,বিষয়টি অস্বীকার করেন। এক প্রশ্নের জবাবে, তারা বলেন, নার্গিসা বেগম ভারত থেকে কোন গহনা বা টাকা পয়সা নিয়ে আসেননি।
এসময় নার্গিসা বেগম ওরফে নাইসা মল্লিকের পাসপোর্ট দেখতে চাইলে তিনি নানা কৌশলে পার্সপোটর্টি সাংবাদিকদের হাতে না দিয়ে নিজেই প্রদর্শন করতে থাকেন এতে সন্দেহ ঘণিভূত হওয়ায় তার পাসপোর্টটি যাচাই করে সেখানে তার স্বামীর নাম মীর ফজলুর রহমান দেখা যায়।
একপর্যায়ে নার্গিসা বেগম সবকিছু স্বীকার করে জানান, জুয়েল অনেক আগে থেকেই তার স্বামী এবং সন্তানের কথা জানতেন। তিনি জেনে শুনেই জুয়েলের কাছে এসেছেন এবং বাকী জীবন তার সাথেই কাটাতে চান। জুয়েল সরকার জানান, তিনিও নার্গিসা বেগমের সাথেই সংসার করতে চান। এক্ষেত্রে তার ভারতে থাকা স্বামী সন্তান থাকায় কোন সমস্যা নেই। জুয়েলের বাবা ইরান সরকারেরও কোন আপত্তি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, একটা কেন দশটা সন্তান থাকলেও কোন সমস্যা নাই। তার সন্তান বউকে নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকলেই হলো। ভারতে স্বামী বর্তমান থাকায় তাকে ডিভোর্স না করে জুয়েলের সাথে কিভাবে বিয়ে হলো; এ প্রম্নের জবাবে তারা কেউই কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রতিবেশী জানান, কয়েকদিন যাবৎ জুয়েলদের পরিবার খুব গোপনীয়তা রক্ষা করে চলছেন। তাদের বাড়ির সামনে আগে কোন গেট ছিলোনা। কযেকদিন আগে তারা একটা গেট তৈরি করেছেন। প্রতিবেশী বা বাইরের কাউকে বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছেন না।