বাঘা প্রতিনিধি:রাজশাহীর বাঘা পৌরসভার অন্তর্গত দক্ষিণ গাওপাড়া এলাকায় শরিফুল ইসলাম (৩৫) এর হাসুয়ার কোপে গুরুতর ভাবে আহত হয়ে মিজানুর রহমান (৪০) নামের এক ব্যক্তি রামেক হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার ( ২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বাঘা উপজেলাধীন বাঘা পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ গাওপাড়া গ্রামস্থ জনৈক মোঃ তৌহিদুল ইসলাম এর জমিতে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা গুরুতর আহত মিজানুরকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। এসময় আহত মিজানুরের অবস্থা বেগতিক লক্ষ্য করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) রেফার্ড করেন। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ০৮ নং ওয়ার্ডের ৩২ নং বেডে আশংকা জনক অবস্থায় চিকিসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
এ ঘটনায় মিজানুরের ছোট ভাই শাহীনুর আলম (৩৫) বাদী হয়ে মোঃ শরিফুল ইসলাম (৩৫), মোঃ শামীম হোসেন (৩০), মোঃ আব্দুল্লাহ (২৫), সর্বপিতা-মোঃ আলম আলী এবং মোঃ আলম আলী (৫৫), পিতা-মৃত হারু, সর্বসাং- দক্ষিণ গাওপাড়া, থানা-বাঘা, জেলা-রাজশাহী দের বিরুদ্ধে ৩ সেপ্টেম্বর বাঘা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, মামলার বাদী রাজশাহীর বাঘা পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের উত্তর গাওপাড়া গ্রামের দুখু প্রামাণিক এর ছেলে শাহীনুর আলম (৩৫) একজন খেজুরের গুড় বিক্রেতা (গাইছি)। তার সাথে শরিফুল ইসলাম খেজুরের গুড় তৈরীর কাজ করে এবং খেজুরের গুড় তৈরীর জন্য শরিফুল শাহীনুরের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জেলায় যেত। পূর্বের ন্যায় এই বছরের আগস্ট মাসে কাজ করার জন্য শাহীনুরের থেকে অগ্রীম বিশ হাজার টাকা নেয় শরিফুল। কিন্তু গত ১৫/২০ দিন আগে শাহীনুরের সাথে কাজ করবে না বলে জানায় শরিফুল। তখন সে পাওনা বিশ হাজার টাকা ফেরত দিতে বলে। শরিফুল টাকা ফেরত দিবে বলে নানা তাল বাহানা শুরু করে। পরবর্তীতে গত ০৭/০৮ দিন পূর্বে টাকা আনার জন্য শাহীনুর শরিফুলের বাড়ীতে যাই এবং শরিফুলের পিতা মাতাকে টাকা দিচ্ছেনা বলে। এতে শরিফুল খুব ক্ষিপ্ত হয়ে শাহীনের সাথে ঝগড়াঝাটি করে। এক পর্যায়ে সে শাহীনুরকে টাকা দিবে না বলে দেয় এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকী ধমকী দিতে থাকে।
এর পরবর্তীতে গত সেপ্টেম্বর সকাল অনুমান সাড়ে ১০ টার সময় শাহীনের বড় ভাই মোঃ মিজানুর রহমান গরুর ঘাস কাটার জন্য
রাহাতের খেয়া ঘাটের নিচে যায়। একই তারিখ সকাল অনুমান ১১ টার দিকে অভিযুক্তরা পূর্ব
শত্রুতার জের ধরে মিজানুরকে বাঘা থানাধীন দক্ষিণ গাওপাড়া গ্রামস্থ জনৈক মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, পিতা-মোঃ তোফাজ্জল হোসেন এর জমিতে একা পেয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাতে হাসুয়া, লাঠি, বস্তা সহকারে এসে পথরোধ করে। এবং মিজানুর কিছু বুঝে উঠার আগেই শরিফুলের পিতা আলম বলে যে, মার শালাকে- শালারা আমাদের মানসম্মান নষ্ট করছে।শালাকে মেরে বস্তায় ভরে পদ্মা নদীতে ফেলে দে। তখন পিতার হুকুমে শরিফুল তার হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মিজানুরের ঘাড়ে কোপ মেরে মারাত্মক কাটা রক্তাক্ত জখম করে এবং শামীম হোসেন তার হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ মেরে ডান গালে এবং পিঠের উপরের মারাত্মক কাটা রক্তাক্ত জখম করে। মিজানুর মাটিতে পড়ে গেলে আব্দুল্লার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে এলোপাথারী আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন অংশে ছিলাফুলা জখম করে।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মো: সামিউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় বাঘা থানায় একটি মামলা হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পালাতক রয়েছে। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।