এসএম রুবেল, ক্রাইম রিপোর্টার: ডুবাই প্রবাসীর জমানো সঞ্চয়ের টাকা দিয়ে শালির বিয়েতে আসবা পত্র একাধিক সরঞ্জাম পাঠাতে গিয়ে নিয়ে এসে গা ঢাকা দিয়েছে বিদেশ ফেরত গাইবান্ধা ও গোবিন্দগঞ্জের বাংলাদেশের দুই প্রতারক। দেশে থাকা প্রতারকের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেয় ভুক্তভোগীর সাথে ডুবাই ফেরত আসা প্রতারক মোকাদ্দেছ আলী অরফে চঞ্চল।দেশ থেকে সহযোগিতার ফাঁদ পেতে বসে ছিলো আরেক নামধারী প্রতার মহিদুল ইসলাম অরফে শিহাব।
জানা গেছে গত প্রায় দেড় মাস আগে একই সঙ্গে ডুবাই নামক দেশে অবস্থান করেছিল।চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার,ছাতাজিপুর এলাকার মৃত নেছ মোহাম্মদ,পুত্র ওয়াসিম (৩৯)সঙ্গে গাইবান্ধা
জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার রাখালবুরুজ ইউনিয়নের সরকারপাড়া,গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুত্র মোকাদ্দেছ আলী অরফে চঞ্চল (২৫)ও মৃত আমিরুল ইসলামের পুত্র মহিদুল ইসলাম অরফে শিহাব বসবাস করছিলো তারা বাংলাদেশে ফেরৎ আসবে বলে জানাইলে গত ইং-০১/১০/২০২৩ ওয়াসিম সরল বিশ্বাসে তাহার শালিকার বিবাহ উপলক্ষে ১০০ গ্রাম স্বর্ণলংকার,যাহার মূল্য আনুমানিক ৮,০০,০০০/-(আট লক্ষ) টাকা,১টি আইফোন,যাহার মূল্য আনুমানিক ১,৫৫,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার) টাকা,০২টি স্মার্ট টাচ ফোন,যাহার মূল্য আনুমানিক ১,১০,০০০/- (এক লক্ষ দশ হাজার),০১টি কম্পিউটার ও ০১টি ল্যাপটপ,যাহার মুল্য আনুমানিক ২,১০,০০০/-(দুই লক্ষ দশ হাজার) টাকার মালামাল সহ একটি কার্টুনে আনুমানিক ২,০০,০০০/-(দুই লক্ষ) টাকার মালামাল সামগ্রী তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয় মোবাইলে যোগাযোগ করে মালামালগুলি বুজিয়ে দিতে বলে। পরের দিন ওয়াসিম ০২/১০/২০২৩ তারিখ দুপুর অনুমান ১২.০০ ঘটিকার সময় মোবাইল ফোনে মোকাদ্দেছ আলী অরফে চঞ্চল ও মহিদুল ইসলাম অরফে শিহাব সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করিলে দুই প্রতারক তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় তবে বন্ধ রয়েছে এখন পর্যন্ত কি কারনে খোঁজ পাচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিকে ঘটনা কর্তৃিক ডুবাই প্রবাসী ভুক্তভোগী বাধ্য হয়ে ওয়াসিমের পরিবারের লোকজন পাঠায়,মোকাদ্দেছ আলী ও মহিদুল ইসলাম শিহাবের ঠিকানা সংগ্রহ করে গত ০২/১০/২০২৩ তাদের বাড়ীতে গিয়া খোঁজ-খবর করলে তাহাদের পরিবারের লোকজন জানায় যে,তারা বাড়ীতে নাই।এবং পরে তাহাদের পরিবারের লোকজন বিভিন্ন তাল বাহানামূলক কথাবার্তা বলে।ঐ এলাকার লোকজন জানায় মোকাদ্দেছ আলী ও মহিদুল এক প্রকার ঠক,প্রতারক,এরা অর্থ সম্পদ লোভী তাদের নামে এর আগেও বেশ কিছু প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।এদিকে ওয়াসিমের পরিবারের পক্ষ থেকে এমতাবস্থায়,উক্ত বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে,ডুবাই প্রবাসী ভুক্তভোগীর আত্মীয় সেলিম রেজা বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানা গাইবান্ধায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখীল করেন।
এদিকে আন্তর্জাতিক প্রতারক মোকাদ্দেছ আলী অরফে চঞ্চল ও তার সহযোগী মহিদুল ইসলাম অরফে শিহাবের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতারনার অভিযোগ তথ্য উদঘাটনের মাধ্যমে বেরিয়ে এসেছে কি কারণে তাদের কে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছেনা তা নিয়ে জনমনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।উল্লেখ এই প্রতারক চক্রকে ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ হাজার টাকা পুরুষ্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।সেই সাথে ডুবাই প্রবাসীর মালামাল ফেরত পেতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্ধর্তন বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার ও সাধারণ জনগণ।