নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করে রাজশাহী ও নাটোরের প্রতিটি উপজেলায় অবৈধভাবে তিন ফসলি জমিতে ব্যাপকভাবে পুকুর খনন করা হচ্ছে। আর সেই পুকুর খননের মাটি সড়ক ও মহাসড়ক দিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। অবৈধ পুকুর খননের মাটি অবৈধ ট্রাক্টরে করে যাবার সময় সড়ক ও মহাসড়কে মাটি পরে পিচ্ছিল হচ্ছে রাস্তা। এতে করে মোটরসাইকেল চালকদের জন্য সড়ক হয়ে উঠছে মরণ ফাঁদ। ইতোমধ্যেই ছাত্র সহ বেশ কয়েকজন মানুষ সড়কে মাটি পড়ার কারণে মোটরসাইকেল স্লিপ করে, পড়ে নিহত হয়েছেন। আর এই সবকিছুই হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। প্রশাসন যেন নিরব দর্শকের ভূমিকায়। এতে করে ভূমিদস্যরা সাহস পেয়ে যাচ্ছে। এমনকি যারা প্রতিবাদ করছেন তাদেরকেই দিচ্ছেন হুমকি ধামকি। কখনো কখনো গণমাধ্যম কর্মীদেরাও পড়তে হচ্ছে তাদের হুমকি ধামকির কবলে।
আর এতে করে রাজশাহী ও নাটোর এই দুই এলাকার মানুষেরা ব্যাপকভাবে প্রশাসনের বিরুদ্ধে রয়েছে ফুঁসে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।
তার ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম হিরা বাচ্চুর নেতৃত্বে উপজেলার বাসুপাড়া বাজারে অবৈধভাবে ও সরকারের তৈরি করা কোটি কোটি টাকা খরচের পাকা রাস্তাগুলো নষ্টের বিরুদ্ধে হয়েছে বিশাল এক মানব বন্ধন।
মঙ্গলবার (৪ই এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায় যে, পুকুর খানন ও রাস্তা নষ্ট বন্ধ করা না হলে আগামী বৃহস্পতিবার পুঠিয়া উপজেলা এলাকায় আবারও হবে মানববন্ধন। পরিষদের চেয়ারম্যান জি এম হীরা বাচ্চু নেতৃত্বে পুঠিয়া উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের উপস্থিতিতে অবৈধ ভাবে তিন ফসলে জমিতে পুকুর খননের বিরুদ্ধে উপজেলার বাসুপাড়া বাজারে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদের পরেও যদি খুব অবৈধভাবে পুকুর খনন বন্ধ না হয় তাহলে আগামীতে প্রশাসন ও অবৈধভাবে পুকুর খনন কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণাও দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তিনি বলেন, পুকুর খননের ফলে শুধু রাস্তাঘাট এরই ক্ষতি হচ্ছে না বরঞ্চ পুরো উপজেলা প্রতিটি মানুষ সমস্যার মধ্যে পড়ছেন। এই পুকুর খনন প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে। এই মানববন্ধনের মাধ্যমে রাস্তাঘাট নষ্ট ও পুকুর খনন বন্ধের জোর দাবি জানাই।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মৌসুমি রহমান তিনি বলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের অবৈধ পুকুর খনন বন্ধের সংগ্রাম, অবৈধভাবে পুকুর খনন করে পুঠিয়া উপজেলার সরকারের করা কোটি কোটি টাকা খরচের রাস্তা খুব সহজেই নষ্ট করছে একশ্রেণীর ভূমি খেকোরা। এসব পুকুর খনন বন্ধে প্রশাসন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন। প্রশাসনের নীরবতার কারণেই এই ভূমিকে করা তিন ফসলের জমিতে পুকুর খনন করে চলেছে। পুকুর খনন বন্ধের জোর দাবি জানাই না হলে, আগামীতে কঠোর আন্দোলন করা হবে।
মানববন্ধনে শত শত সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জি.এম হীরা বাচ্চু তিনি বলেন, কিছুদিন আগেও প্রশাসনের সক্রিয়তার কারণে পুকুর খননকারীরা পুকুর খনন করতে পারেনি। বর্তমানে স্থানীয় এমপি ও নেতা-নেত্রীদের নাম ভাঙ্গিয়ে একশ্রেণীর অসাধু ভূমি খেকোরা দিনরাত এক করে পুকুর খনন করে যাচ্ছে। এতে করে কমছে ফসলে জমি নষ্ট হচ্ছে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচের কাঁচা পাকা রাস্তাগুলো। একটু বৃষ্টি পড়লেই রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। আবার কখনো কখনো মারাও যাচ্ছে মানুষ। শুধুমাত্র এই পুকুর খননের অবৈধ ট্রাক্টরে করে মাটি বাহনের কারণে রাস্তায় পড়ে প্রতিনিয়ত এমন দুর্ঘটনা সংবাদ আসছে। এখনই পদক্ষেপ না নিলে আমাদের ভবিষ্যতে এই উপজেলার মানুষদের ভাতের বদলে মাছ খেয়ে থাকতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে ঘোষণা দিয়েছেন আমাদের দেশে বেশি বেশি ফসল উৎপাদন করতে হবে ঠিক তার বিপরীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথাকে অমান্য করে চলছে অবৈধ পুকুরখানা আর মাটি বিক্রির মহোৎসব। খুব দ্রুত আমাদের উপজেলা কুকুর খনন বন্ধ না হলে আগামী বৃহস্পতিবার আবারো মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে পরবর্তীতে নেয়া হবে কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি। তাই প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি এই অবৈধ পুকুর খননের দিকে নজর দেওয়ার জন্য।
এ সময় শত শত সাধারন মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, জি এম হীরা বাচ্চু, পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান। অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, সভাপতি পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ। মৌসুমি রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ। সাজ্জাদ হোসেন মুকুল, চেয়ারম্যান শীলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ। কামাল হোসেন, প্যানেল মেয়র পুঠিয়া পৌরসভা ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক দলের বহু নেতাকর্মী ও স্থানীয় ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য (মেম্বারগণ) এ সময় প্রতিবাদ জানান।