স্টাফ রিপোর্টারঃ ন্যাশনাল ব্যাংক রাজশাহী শাখার অনিয়ম ও দুর্নীতির উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছেন ন্যাশনাল ব্যাংকের হয়রানির শিকার ব্যবসায়ী মো আব্দুল মাজেদ।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকালে বিভাগীয় প্রেসক্লাব রাজশাহীর হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুল মাজেদ বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের জন্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করলে উচ্চ আদালত (৫,৬২,৭০৮ টাকা) ঋণ পরিশোধের জন্য চারটি কিস্তি করে দেয়। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আমি চারটি কিস্তি পরিশোধ করতে গেলে ব্যাংক অসৎ উদ্দেশ্যে আমার কিস্তির টাকা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর আমি পে অর্ডারের মাধ্যমে কিস্তির টাকা জমা দেই।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, গত ২৮ বছরের মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংক রাজশাহী শাখা আমার সাথে কোন যোগাযোগ করেনি এবং টাকা পরিশোধের জন্য কোন নোটিশ প্রদান করেনি। পরবর্তীতে গত তিন মাস আগে ব্যাংক ভূমিদস্যুদের সাথে যোগসাজস করে হাইকোর্টের বিচারাধীন মামলাটি গোপনে অন্য বেঞ্চে নিয়ে গিয়ে একতরফাভাবে শুনানি করে এবং কিস্তির টাকা আমি পরিশোধ করেনি এই মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলাটি খারিজ করে নেয়। যা সম্পূর্ণরূপে বেআইনি ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ।
এরপর ব্যাংক রাজশাহীর অর্থঋণ আদালত থেকে দখলি পরোয়ানা ইস্যু করে।
দখলি পরোয়ানার সাথে বিল্ডিং ভাঙ্গার কোন আদেশ ছিলনা। ন্যাশনাল ব্যাংক রাজশাহীর শাখার কর্মকর্তারা গত ১৩ জানুয়ারি ৫০/৬০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে এসে রাজশাহীর নিউমার্কেট এলাকায় অবস্থিত আমার এজমাইলি বসতবাড়ি ভাঙার অপচেষ্টা চালায়।
এই বসতবাড়ি নিয়ে ওয়ারিসদের সাথে আদালতে বাটোয়ারা মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এই মামলায় আদালতে স্থিতিবস্থা জারি রয়েছে। এরপরেও ন্যাশনাল ব্যাংক রাজশাহী শাখার কর্মকর্তারা আমার বসতবাড়ি আত্মসাতের অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
এ অবস্থায় আমি সংবাদ সম্মেলন থেকে ন্যাশনাল ব্যাংক রাজশাহী শাখার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদকের উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবী করছি এবং এ সমস্ত অবৈধ তৎপরতা থেকে ন্যাশনাল ব্যাংকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।