এসএম রুবেল,চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নে পবিত্র ইদুল ফিতর উপলক্ষে বরাদ্দ দেয়া ভিজিএফের চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে,সরকারি বরাদ্দ ১০ কেজি হলেও সুবিধাভোগীরা পেয়েছেন ৭-৮ কেজি করে।
এছাড়াও তালিকায় নাম থাকলেও অনেকেই পায়নি ভিজিএফ’র চাল। এমনকি তালিকার বাইরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজির হোসেন তার স্বজন ও লোকজনদের মাঝে টোকেন বিতরণ করে চাল বিতরণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়,নারায়নপুর ইউনিয়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ৩২৯০ কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ৩২ মেট্রিক টনের অধিক পরিমানে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। চলতি মাসের ১৬, ১৭ ও ১৮ এপ্রিল নারায়নপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এসব চাল বিতরণ করা হয়।
ভিজিএফ’র চাল পাওয়া সুবিধাভোগী আব্দুর রাকিব বলেন,আমরা জানি, ভিজিএফ’র জন্য সরকার বরাদ্দ দিয়েছে ১০ কেজি করে চাল। কিন্তু চাল বাসায় নিয়ে আসার পর মেপে দেখলে ৭-৮ কেজি করে চাল পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি ১০ কেজির জায়গায় ৯ কেজি পরিমানে চাল একজনও পায়নি। মোট পাওয়া সুবিধাভোগীদের মধ্যে ৫০ শতাংশ পেয়েছে ৭ কেজি বাকি ৫০ শতাংশ পেয়েছে ৮ কেজি করে চাল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক দিনমজুর জানান,দীর্ঘ ৩-৪ বছর ধরে আমরা ইদের আগে ভিজিএফ’র চাল পায়। কিন্তু চলতি বছরের মতো এতো কম চাল কখনও পায়নি। সরকার যদি ১০ কেজি বরাদ্দ দেয়,তাহলে আমাদেরকে কেন ৭-৮ কেজি করে দেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান,ও মেম্বাররা তাদের নিজের লোকজন দিয়ে সরকারি এসব চাল বাজারে বিক্রি করছে।
তরিকুল ইসলাম নামের এক দিনমজুর বলেন,দিয়াড় অঞ্চলে ও পদ্মা নদীর ওপারে ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নিতে পারেন চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা। নারায়নপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজির হোসেনের বিরুদ্ধে ৪০ দিনের কর্মসূচিতেও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে নারায়নপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজির হোসেন বলেন,কোন অনিয়ম বা ওজনে কম না দিয়ে নয়,বরং সকল নিয়ম মেনেই নারায়নপুর ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রওশন আলী বলেন,ওজনে কম দেয়ার কোন সুযোগ নেই। ১০ কেজির জায়গায় ৭-৮ কেজি চাল প্রদান এবং তালিকা ছাড়াই অন্যদের মাঝে বিতরণ ও তালিকায় নাম থেকেও না পেলে এর বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগ উঠেছে ও এলাকাবাসী দাবি করছেন,কালু,মতি মড়া,রবিউল (রোবু),বাবু এরা পাইকারি ব্যবসায়ী অভিযোগ পাওয়া গেছে বাই পাস করে তাদের কাছে কয়েকশো বস্তা চাউল সরানো হয়েছে বিক্রির উদ্দেশ্যে তবে এ বিষয়ে ঘটনার উদঘাটন করে জনসম্মুখে দ্বিতীয় পর্বে আসছেন প্রতিবেদক।।
উল্লেখ্য,আসন্ন ইদুল ফিতর উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে মোট ৫৪ হাজার ৯৯৩টি কার্ডে ৫৪৯ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।