রাজশাহী প্রতিনিধি:রাজশাহী মহানগরীতে মিথ্যা মামলা, হামলা ও ষড়যন্ত্রকারী রিনার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে ১৯ নং ওয়ার্ড এলাকাবাসী।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে নগরীর কামরুজ্জামান চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে অংশ নেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী সহ সকল স্তরের জনগণ।
জানা যায়, চন্দ্রিমা থানাধীন শিরোইল কলোনি এলাকার আওলাদের স্ত্রী রিনা বেগম একই এলাকার এবং একই পরিবারের সকলকে জড়িয়ে থানায় এবং পুলিশ কমিশনার বরাবর ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করছেন তার মেয়ের সাথে বিয়ে না দেওয়ায় প্রতিপক্ষ রানা, হিরা ও ফালাক তাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
এদিকে হামলার ঘটনাটি সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগের পর এলাকাবাসীদের মাঝে দেখা দেয় সমালোচনা ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ভুক্তভোগী ও সাক্ষীর অগোচরে এমন অভিযোগ হওয়ায় এর প্রতিবাদ ও অভিযোগ প্রত্যাহারে দাবি জানিয়ে এ মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী।
এদিকে একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে রিনা বেগম তার নিজের গেটে বাড়ি দিচ্ছেন আর ৯৯৯ ফোন দিয়ে চিৎকার করে বলতে থাকেন, স্যার আমাকে বাচান, আমাকে মেরে ফেল্ল। অথচ ঘটনাস্থলে কোন ব্যক্তিই উপস্থিত ছিলেন না। পরক্ষণেই গেট খুলে উকি মেরে দেখেন এবং গেট নিজেই লাগিয়েদেন।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা বলেন, রিনা একজন সুদ কারবারি, ফাসাদি ও ষড়যন্ত্রকারী মহিলা। সে নিজের আধিপত্য বিস্তারের লক্ষে এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে রাখে। সে বাসা থেকে বের হলে মনে হয় একজন সন্ত্রাসী বের হচ্ছে। স্থানীয়রা তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পায়। এলাকায় অন্যের ঝগড়া বিবাদ মিটানোর পরিবর্তে নিজের ঘাড়ে নিয়ে ঘটনাটিকে বড় করার চেষ্টা করে। এখানেই শেষ না, বর্তমানে তার দুই মেয়েকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে তার ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। নিজের এবং মেয়ের গায়ের কাপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে থানায় অভিযোগ দায়ের করছেন।
এলাকার যুবসমাজ রয়েছে ব্যাপক হুমকির মুখে। এছাড়া রিনার ছোট ভাই আলিম, সে একজন পুলিশের সোর্স এবং এলাকায় থানার ওসি হিসেবে পরিচিত অর্জন করেছে। তার বাসাবাড়িতে তিনজন পতিতা রেখে ব্ল্যাকমেইল করা ও মাদকের পেশা পুরনো হলেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়না।
এলাকার নিরীহ মানুষকে মাদক ও নারী দিয়ে ফাসিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া এখন ব্যবসায় পরিনত হয়েছে তাদের।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বক্তারা বলেন, রিনা বেগম একজন দুর্ধর্ষ নারী। তার হাত থেকে মানুষ বাঁচতে সবসময় দূরে থাকে।
কোনো কিছু হলেই কারণে-অকারণে মামলা ও মিথ্যা অভিযোগ করেন তিনি। মামলা ও অভিযোগ যেন তার নেশা। মামলা করে মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন নগদ অর্থ। সাক্ষীরাও মামলার মিথ্যা সাক্ষী দিতে না গেলে দেখান ভয়।
মানববন্ধনে মিথ্যা মামলার বাদীর শাস্তির ও মামলা প্রত্যাহারে দাবি জানানো হয়। পুলিশ কমিশনারের দৃষ্টি কামনা করেন ভুক্তভোগীরা এবং তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে এলাকার শতাধিক জনগণের উপস্থিত ছিলেন।