শেখ শিবলী, রাজশাহী : গোদাগাড়ী উপজেলার রাজবাড়ী দেওপাড়া ৭নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা সংবাদ ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। দাবি ব্যবসায়ী ও বাজার কমিটির সভাপতি গোলাম রসুল বেনু। তিনি বলেন, মোটামুটি মাসখানেক আগে তহসিলদারকে ভূমি অফিস থেকে এসিল্যান্ড পাঠিয়েছিল। আমরা তহসিলদারকে জিজ্ঞেসা করি। হাটের জায়গা মাপামাপি করছেন কেন। উনি বলেন হাটের দোকানপাট এককালীন লিজ দেয়া হবে৷ আমরা তাহলে কার সাথে যোগাযোগ করবো। তহসিলদার বলে আপনাদের যোগাযোগ করার দরকার হবে না। অফিস থেকে যোগাযোগ করে নেবে। যেহেতু আমরা ব্যবসায়ী হিসেবে সাধারণ মানুষ বাপু। আমাদের তো তেমন কোনো চেনাজানা লোকজন নেই। কার কাছে যাব চেনাজানা বলতে আমাদের চেয়ারম্যান। আমি সভাপতি ও ব্যবসায়ীরা মিলে চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করি। চেয়ারম্যান অতটা গুরুত্ব না দিয়ে বলেছেন। আপনারা যান, কোন একটা ব্যবস্থা করে দেবোনি। কিছুূূদিন পর আবারো, ব্যবসায়ীরা মিলে চেয়ারম্যান সাহেব এর কাছে যায়। এসময় চেয়ারম্যান বলেন আপনারা হাট ব্যবসায়ীদের উপকার করতে গিয়ে, উল্টো আমাকে নিয়ে পত্রিকা বা অনলাইনে মিথ্যা সংবাদ অপপ্রচার ছড়ানো হয়েছে।
যা গণমাধ্যমে মারাত্মক মানহানিকর মিথ্যা ঘটনার কোন তথ্য যাচাই-বাছাই কিংবা অনুসন্ধান না করেই পত্রিকা বা অনলাইনে ভুল তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছ। যা একবারে অপ্রত্যাশিত। হাট বাজার কমিটির সভাপতি ও কাপড় ব্যবসায়ীরা বলেন ইউপি চেয়ারম্যান বেল্লাল উদ্দিন সোহেল আমাদের কাছ থেকে দশটি পয়সাও চাননি। রাজবাড়ী হাটের কাপড় ব্যাবসায়ী আসাদুল হকের মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতেই এধরণের সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। আপনারা সাংবাদিক ভালভাবে খোঁজ খবর নিয়ে দেখতে পারেন। ইউনিয়ন নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই একটি কুচক্রী মহল
চেয়ারম্যান বেল্লাল উদ্দিন সোহেলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্ত লাভ হবে না। তাদের স্বপ্ন কোনদিন পূরন হবে না। সোহেলকে সামাজের নিকট হেয়করার জন্য, কোনো একটা কুচক্রীমহল সাংবাদিককে মনগড়া তথ্য দিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করাচ্ছেন। ইউনিয়নজুড়ে চেয়ারম্যান সোহেলের ব্যপক জনপ্রিয়তা দেখে হিংসায় জর্জরিত একটি মহল বেসামাল হয়ে। এসব অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
জানা যায়, রাজাবাড়ী পালপুরসহ বিভিন্ন স্থানে বিশাল বিশাল জনসভা করে, আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনকে শক্তিশালী করতে ইউপি চেয়ারম্যান সোহেলের বিকল্প নেই। করোনাকালীন সময়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে মানুষের দারে দারে ঘুরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাজারো হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেছেন। এবং প্রতি ঈদের সময়ে, নগদ অর্থ, ঈদ সামগ্রী বিতরণসহ এলাকার গরীব, দুঃখী, শ্রমিক, ভ্যানচালক, অসাহায় মানুষের হৃদয়ে ভালবাসার বিশাল জায়গা থেকে ইউপি চেয়ারম্যান সোহেলের নামটি মিশে আছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সভাপতি বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইউনিয়ন নির্বাচনে সোহেলের হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দিয়েছিলেন। এরপর থেকে একটি বিশেষ মহল চেয়ারম্যান সোহেলের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগে আছে। তার এলাকায় জনপ্রিয়তা দেখে হতবাক, বেসামাল, পাগল হয়ে গেছে তারা।
ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল বলেন হাটের ব্যাবসায়ী শুধু নয় আমার ইউনিয়নে কোন একটা মানুষ সঠিকভাবে প্রমাণ দিতে পারবে না। কারো কাছ থেকে একটি টাকাও চাইছি। কিংবা কেউ আমাকে টাকা দিয়েছে। অনুসন্ধানে আরও বেরিয়ে এসেছে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ পরিবারে গড়ে উঠা ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতিতে হাতে ঘড়ি। গত ১৫ বছর থেকে দেওপাড়া ইউপির প্রতিটি ওয়ার্ডে ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল। তার নেতা কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে ছুটে গেছেন। সাধারণ মানুষের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, অসুস্থ্য, গরীব, মানুষের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। গরীব মানুষের মেয়ের বিয়েতে আর্থিক সহযৌগিতা, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ, মাদ্রসায় বক্তিগত, অনুদানসহ সরকারী অনুদান ব্যবস্থা করে আরও দ্রুত ইউনিয়ন বাসীর হৃদয়ে অনেক বেশি জায়গা করে নিয়েছেন।
এছাড়া গোদাগাড়ী উপজেলা যুবলীগের অর্থবিষায়ক সম্পাদক, ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজসেবক, তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্ব পক্ষে ইউনিয়ন নির্বাচনী প্রচারে নারী পুরুষসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ বাড়ি, বাড়ি, গিয়ে ভোট প্রার্থনা উঠান বৈঠক, নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনতে দেওপাড়া ইউনিয়ন থেকে মানুষের ভালবাসায় বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছিলেন।
হাট ব্যবসায়ী মিলন বলেন দেওপাড়া ইউনিয়নের সুযোগ্য এই ইউপি চেয়ারম্যান বেল্লাল উদ্দিন সোহেল কাপড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দোকান বরাদ্দের নামে চাঁদার টাকা চাইবে এটা ইউনিয়নবাসী কোনদিন বিশ্বাস করবে না৷ নির্বাচনের পর থেকে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার সংকটে ফেলতে ও রাজনৈতিক মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিতে তাকে হয়রানির উদ্দেশ্যে এধরনের মানহানিকর অসত্য অভিযোগ তুলে ধরে হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান বেল্লাল উদ্দিন সোহেল বলেন।এসব ব্যক্তিগত রাজনৈতিক আক্রোশ থেকেই মিথ্যা অভিযোগগুলো করা হচ্ছে। অভিযোগ বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে যে সকল ভুল সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। এর স্বপক্ষে কোন সাক্ষ্য প্রমাণ দিতে পারবে না হাটের ব্যবসায়ীরা কেননা অভিযোগের জায়গা গুলোই কাল্পনিক। আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট শুধুমাত্র রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই কাজটি করে চলেছেন তারা। মিথ্যা অভিযোগ এনে আমার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধাও চাওয়া হয়েছে। এতে সারা না দেওয়াই এখন অনেকটায় ব্ল্যাকমেইল শিকার হচ্ছি। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্ন রয়েছে তা বাস্তবায়নে অবিরত কাজ করে যাচ্ছি। নিষ্ঠার সাথে নিয়মমেনে দায়িত্ব পালন করে চলেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় সম্প্রতি সমাজের কতিপয় ব্যক্তি ও রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের ইশারায় সম্পূর্ণ মিথ্যা ঘটনার বিবৃতি শিরোনামে স্থাপন করানো হয়েছে। কিছু সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ভুল সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। আমি এই মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভুল তথ্য সংবাদ প্রচারের সাথে ইউপি চেয়ারম্যান বেল্লাল উদ্দিন সোহেলের কোন সংশ্লিষ্টতা এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
চেয়ারম্যান সোহেল আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, অপপ্রচার করা হচ্ছে। অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও জানান তিনি।