নিজস্ব প্রতিবেদক: দূর্গাপুর উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেনিতে পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল কর সৃষ্টি হয়েছে। ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় ছেলে মেয়েকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।
জানাগেছে,দূর্গাপুর উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামের আল-আমিনের মেয়ে বহরমপুর দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রী আলো (১২)কে একই গ্রামের সোহরাব আলীর লম্পট ছেলে সোহান দীর্ঘদিন থেকে আলোকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
আজ মুঙ্গলবার (০৬/০৪/২০২৩) ইং তারিখ আনুমানিক বেলা ১১ ঘটিকার সময় আলোর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সোহান আলোর বাড়িতে প্রবেশ করে এবং আলোকে ঝাপটা ধরে স্বয়ং ঘরে বিছানার উপরে ফেলে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
আপত্তিকার অবস্থায় তার চাচি জানালার ফাঁক দিয়ে দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোক জনকে ডাকলে তারা আসিয়া তাদেরকে দুজনকেই একই ঘরে আপত্তি কর অবস্থায় ধরে ফেলে।
পরে মেয়ের বাবা কর্মস্থল থেকে আসার পর ঘোটনার বিষয় অবগত হইয়া স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুল ও চেয়ারম্যান সম্রাট’কে অবগত করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান সম্রাট গ্রাম্য পুলিশ ও ইউপি সদস্যকে তাদের বাড়িতে পাঠায়। গ্রাম্য পুলিশ অর্থাৎ ( চোকিদার ) কে দিয়ে তাদের দুই জনকে পাহারাদিয়ে রাখেন।
পরবর্তীতে বেলা অনুমানিক দেড়টার সময় তদন্ত (ওসি) নয়ন ঘটনা স্থল থেকে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। দফায় দফায় কয়েকবার আপোষ মিমাংশা করার চেষ্টা করিলে, ছেলের পক্ষ নিয়ে দূর্গাপুর পৌরসভার অফিস সহকারী অর্থাৎ চৌবাড়িয়া গ্রামের রাকিব দেনদরবার নিয়ে হাজির হয় এবং গোপন বৈঠক করে মোটা অংকের লেনদেনের মাধ্যমে ছেলে মেয়েকে থানায় থেকে রাত ৯টার পর ছাড়িয়া নিয়ে চলে যায় ।
এ ব্যপারে দূর্গাপুর থানার ওসি (তদন্ত) নয়নের সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থলে যেয়ে শুনেছি দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলমান রয়েছে। আজ বেলা ১১টার দিকে মেয়েকে একা পেয়ে স্য়ং ঘরে ঢুকে অপত্তিকর অবস্থায় দেখে ৯৯৯ নে ফোন দিলে, আমরা গিয়ে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসছি। পরবর্তীতে স্থানীয় ভাবে তার দুই পক্ষ আপোষ মীমাংস হয়ে গেলে মুসলেকা দিয়ে তাদেরকে থানা থেকে ছেড়ে দিয়েছি।