রাজশাহীর (দূর্গাপুর) প্রতিনিধিঃরাজশাহীর দূর্গাপুরে হত্যাচেষ্টা ও নাশকতা মামলায় আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি আইনুদ্দিন (৫৫)কে গ্রেফতার করেছে দূর্গাপুর থানা পুলিশ।
সে দূর্গাপুর পৌর এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি বহরমপুর গ্রামের মৃতঃ দাইমুদ্দিনের ছেলে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। বুধবার ২ (অক্টোবর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সূত্র মতে, গত ৩(সেপ্টেম্বর) হত্যাচেষ্টা ও নাশকতা চালানোর অভিযোগে থানায় মামলটি দায়ের করেন দূর্গাপুর উপজেলার চক-জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের শাহাদত হোসেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আগের দিন অর্থাৎ গত ৪ আগস্ট রাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলা মেডিকেল মোড়ে আসামীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহযোগিতাকারীদের হত্যার উদ্দেশ্যে ব্যাপক নাশকতা চালায়।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের সময় ভোটকেন্দ্র দখল, হাটের টেন্ডার বাজি ও খাস পুকুর দখল করে কোটি টাকার বনে গিয়েছেন আইনুদ্দিন । আওয়ামী লীগের আমলে সে অন্যায় অত্যাচার, মারপিট, জুলুম নির্যাতন চালিয়েছেন এবং নিজে বানিয়েছেন টর্চার সেল।
তার নির্যাতন ও জুলুমের শিকার হয়েছেন, দূর্গাপুর উপজেলার নানান শ্রেণীর ও পেশার মানুষ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বহরমপুর গ্রামের মৃতঃ আকবরের ছেলে রহিদুল, বদরুদ্দিন ওরফে বুদের ছেলে শাহজাহান, মৃতঃ আব্দুস সাত্তারের ছেলে উজ্জল, আজিমুদ্দিনের ছেলে শরিফুল ইসলাম, আওয়াল, মঙ্গলের ছেলে নাজমুল। তার চাচাতো ভাই এনামুল শেখ’কে দুই বছর পূর্বে দূর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে ইমারজেন্সি বিভাগে মাথায় শিলায় চলাকালীন সময়েও মারপিট করে। মেডিকেল গেটের বাইরে বসে থাকা তার চাচীকেও মারপিট করে জখম করেন।
তার হাত থেকে রক্ষা পায়নি তার নিজের ভাই চয়েন উদ্দিন। সে বিএনপি করার কারণে তৎকালীন সরকারের সময় তার ভাই আইনুদ্দিন তাকে ধরে নিয়ে এসে মাদ্রাসার মাঠে হাত পা রশি দিয়ে বেঁধে মারপিট করে নির্যাতন করেন। এমনকি থানার মধ্যে গোল ঘরে বসেও সাধারণ মানুষকে লাথি, মারপিট করতেন। তিনি আওয়ামী লীগের শীর্ষ সন্ত্রাসী হওয়ার কারণে তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতো না।
এ ব্যাপারে দূর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক এর সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দূর্গাপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা আইনুদ্দিনকে আটক করা হয় এবং বৃহস্পতিবার দুপুরে আটকৃতকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।