নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাক, ঢোল, শঙ্খ আর উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে চলছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। আর এই উৎসব ঘিরে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় মোট ১৯টি তার মধ্যে পৌরসভা ৩টি পূজামণ্ডপের নান্দনিক মূল ফটকসহ দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জা দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা।
আজ (২৩ অক্টোবর) বিভিন্ন পূজামণ্ডপে পরিদর্শন করেছেন দূর্গাপুর পৌরসভার মেয়র গতকাল থেকে মহাসপ্তমী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে পূজার মূল আনুষ্ঠিকতা। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এবারের সকল দুর্গোৎসব। দূর্গাপুর পৌরসভার,দূর্গাপুর পূজা মন্ডব রৈপাড়া রিশিপাড়া,গুরগায়-রিশিপাড়া, কয়েকটি পূজামণ্ডপে পরিদর্শন করেছে পৌর মেয়র সাজেদুর ইসলাম মিঠু পূজামণ্ডপের নান্দনিক মূল ফটকসহ দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জা দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন ।
সে সময় উপস্থিত ছিলেন,ছাত্রলীগ,যুবলীগ, আওয়ামী লীগ,পৌর কাউন্সিলর সহ বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা প্রায় ২৫০মোটরসাইকেল নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।
অন্য বছরের তুলনায় এবার পূজামণ্ডপ গুলোতে বাঁশ, কাপড়, শোলার দ্বারা তৈরি দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জা করা হয়েছে। এ ধারবাহিকতায় এবারও সাত্ত্বিক পূজা-অর্চনার পাশাপাশি দর্শনার্থীর জন্য নতুন কিছু আয়োজন করা হয়। প্রধান ফটক থেকে শুরু করে প্রায় সকল স্থানে প্রতিমা নির্মাণের মাধ্যমে দেবী দুর্গার মহিষাসুর বধ কাহিনির চিত্র দেখা যায়।
শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব পালনের জন্য পৌর মেয়র পরামর্শ ও সহযোগিতার আলোকে নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন বলে জানান,দূর্গাপুর হিন্দু কল্যাণ ও সংস্কার সমিতির।
পরিদর্শন শেষে পৌর মেয়র সাজেদুর রহমান মিঠু গণমাধ্যমকে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল স্বপ্ন ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, যা বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরেই আজ বাস্তবায়িত হয়েছে। কোন ধর্মের মানুষ সহ সকলকে আগামী দিনেও দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এখন অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে চলমান অসাম্প্রদায়িক উন্নত জীবনসহ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে পাশে থাকবার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান ।
সনাতনী পঞ্জিকা অনুযায়ী, ২১ অক্টোবর মহাসপ্তমী পূজার মাধ্যমে শুরু হয়েছে দুর্গাপূজার মূল আচার অনুষ্ঠান। ২২ অক্টোবর মহাঅষ্টমী, ২৩ অক্টোবর মহানবমী ও ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।