নিজস্ব প্রতিবেদক :রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় নজিবর ও ফিরোজ নামের বাবা ছেলের বিরুদ্ধে নদীর জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে। এসম্পর্কে গত রোববার (৫ মে) উপজেলার ইউএনও, এসিল্যান্ডসহ থানায় বিষয়টি অবগত করা হলেও এখনও কোন আইনী পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারীরা।
অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের মৃত দইচা শাহের ছেলে নজিবর রহামান (৬০) এবং নজিবর রহমানের ছেলে ফিরোজ (৩৫)।
জানা গেছে , উপজেলার পানানগর ইউনিয়নের কিশমত তেকাটিয়া গ্রামের পাশ দিয়ে আয়চান নদীর অবস্থান। আর প্রায় পাঁচ থেকে সাতটি গ্রামের বর্ষা মৌসুমে পানি প্রবাহের পথ হিসাবে ব্যবহার হয়ে থাকে।
ও তেকেটিয়া গ্রামের নজিবর ও তাঁর ছেলে ফিরোজ নিজেদের ব্যক্তিগত জমি নদীতে নেমে গেছে এমন অজুহাতে নদীর জায়গাসহ অতিরিক্ত জমি প্রাচীর দিয়ে ঘিরে ভরাট করছিলেন। এমন সময় স্থানীয় মেম্বারসহ এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানান। এমন প্রতিবাদের তাঁরাও প্রতিবাদকারীদের উল্টো ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে।
স্থানীয়রা জানান, নদীর সাথে তাঁদের জমি। এজন্য তাঁরা জোর পূর্বক ভাবে নদী ভরাট করে জমির পরিসীমা বৃদ্ধি করছেন। এর ফলে একদিকে যেমন নদীর আয়তন কমে যাচ্ছে আর সরকারি জমি পরিমাণ হ্রাস তথা সরকারি সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। শুধু তাই নয় বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি চলাচলসহ নানা প্রকার সমস্যার সৃষ্টি হবে বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা।
সামিউল আলম সুমন (৩৭) নামের এক ব্যক্তি বাঁধা দিলে তাঁকে নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে জানা গেছে। সামিউল আলম সুমন কিশমত তেকাটিয়া গ্রামের মৃত জবান আলীর ছেলে।
এসম্পর্কে সামিউল আলম সুমন বলেন, বাহিরে থেকে ক্যাডার বাহিনী ভাড়া করে এনে বাড়ি থেকে আমাকে তুলে নিয়ে যাবে বলেছে। এমনকি আমার বাড়ি পর্যন্ত গিয়ে হামলা ও আক্রমণ চালিয়েছে তাঁরা। আমাদের অপরাধ আমরা কেন প্রতিবাদ করলাম। পরে পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। স্থানীয় মেম্বার রেজাউল করিমও বিষয়টি অবগত আছেন। নদী ও নিজেদের রক্ষার্থে আমরা ইউএনও, এসিল্যান্ড এবং থানায় বিষয়টি অবগত করেছি যাতে দ্রুত তাঁরা ব্যবস্থা গ্রহণ ও সমস্যার প্রতিকার করেন।
দুর্গাপুর ভূমি উপজেলা অফিসের কাম-ক্যাশিয়ার শফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। উর্ধ্বতন কর্মকতারা বিষয়টি দেখছেন। নির্দেশ অনুযায়ী ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও সুষ্ঠু তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।