সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার সামনে দিয়ে ঢাকা সিলেট মহা-সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইট ,বালু, মাটি টানার কাজে ব্যবহৃত অবৈধ ট্রাক্টর।
সোমবার (২০ মার্চ ) সকালে সরেজমিন গিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ইসলামাবাদ (গুগত) অংশে এমনই চিত্র চোখে পড়ে প্রতিনিধির কাছে। কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই এই মহা-সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ট্রাক্টর। উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কিভাবে ঢাকা সিলেট মহা-সড়কে ট্রাক্টর চালাচ্ছেন এমন প্রশ্ন করলে চালক বলে অমুক ভাইয়ের গাড়ি।
জানা যায়, মাটি টানার ও ইট বালু কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর অযান্ত্রিক যানবাহনের মহা-সড়কে চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু বর্তমানে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ট্রাক্টর গুলো পুকুর কাটা মাটি নিয়ে ও ইট বালু নিয়ে ঢাকা সিলেট মহা-সড়কের বিভিন্ন এলাকায় যাওয়া-আসা করছে। এসব ট্রাক্টর থেকে নরম ও কাদা মাটি পড়ে মহা-সড়ক পিচ্ছিল হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ঢাকা সিলেট মহা-সড়কে নিষিদ্ধ ঘোষিত সিএনজি চালিত থ্রি-হুইলার, ব্যাটারি চালিত রিকশা, রিকশা ভ্যান ও অযান্ত্রিক তিন চাকার যানবাহন চলাচল করছে। মহাসড়কে পড়ে থাকা নরম কাদা মাটি এবং লাইসেন্স ও রুটপারমিটবিহীন এসব যানবাহনের কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে প্রাণহানীর ঘটনা ঘটছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ থেকে বিজয়নগরের সাতবর্গ পর্যন্ত ৩৪ কিলোমিটার ও কুমিল্লা-সিলেট মহা-সড়কের বিশ্বরোড মোড় থেকে কুটি চৌমুহনীর কালা মোড়া ব্রিজ পর্যন্ত ৪৩ কিলোমিটার খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার অধিনস্থ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, হাইওয়ে থানার কিছু চিহ্নত দালালের মাধ্যমে ৩ হাজার টাকা করে মাসিক মাসোয়ারা নিচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ। এর বিনিময়ে মহাসড়কে চলাচলের জন্য একজন দালাল নাম রোডে বললে ছেড়ে দেয় হাইওয়ে থানার পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, মাঝে মধ্যে হাইওয়ে পুলিশ ব্যাটারি চালিত রিকশা, রিকশা ভ্যান ও অযান্ত্রিক যানবাহন বন্ধে অভিযান চালালেও অজ্ঞাত কারণে মাটি বহনকারী ট্রাক্টর বন্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় না।
অভিযোগ রয়েছে, মহা-সড়কে এসব ট্রাক্টর চলতে প্রতিটি ট্রাক্টর থেকে মাসে তিন হাজার টাকা মাসিক মাসোয়ারা নেয় হাইওয়ে পুলিশ। মাসিক মাসোয়ারা বাইরে যেসকল ট্রাক্টর রয়েছে তাদের আটক করে
মামলা দেওয়া হয়। আর মামলা গুলো হচ্ছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সামাল দেয়ার হাতিয়ার।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক মহা-সড়কে চলাচল নিষিদ্ধ ট্রাক্টর চালককের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, হাইওয়ে থানায় একজনের মাধ্যমে আমাদের কন্ট্রাক্ট করা আছে তাদের অনুমতি নিয়েই আমরা মহাসড়কে ট্রাক্টর দিয়ে ইট, বালু, মাটি বহন করছি।
এ ব্যাপারে সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আকুল চন্দ্র বিশ্বাসের কাছে মহা-সড়কে ট্রাক্টর চলা চলের অনুমতি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, মহা-সড়কে ট্রাক্টর চলাচল কোনো অনুমতি নেই, তার পরেও যারা মহা-সড়কে আসে তাদেরকে ধরে মামলা দিচ্ছি।