মোঃনেওয়াজ মোর্শেদ নোমান,জয়পুরহাটঃজয়পুরহাট সদর উপজেলার চকজয়কৃষ্ণপুর গ্রামে সরকারি খাস পুকুর দখল করে মাছ চাষ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জয়পুরহাট যুগ্ন জেলা জজ আদালতে সরকারের পক্ষে একটি মামলা করেছেন জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক। মোকদ্দমা নং-১১/২০২৩। এছাড়া স্থানীয় পুকুরপাড়ের বসবাসরত আদিবাসীদের মারপিট করার অভিযোগে অভিযুক্তদের নামে জয়পুরহাট সদর থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে।
আদালতের মামলার আসামীরা হলেন, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার জগদীশপুর গ্রামের মৃত কাশেম আলীর ছেলে, রোস্তম আলী, মোশারফ আলী, কোব্বাদ আলী, আব্দুর রশিদ ও আব্দুর রাজ্জাক।
আদালতের মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার চকজয়কৃষ্ণপুর মৌজায় ১৩২ দাগে ১.২২ একর পুকুরসহ ৮.৭৭ একর সম্পত্তি ভারত সম্রাটের অধিনে মহাল জয়পুরহাট ছাওয়ালপাড়া দং ভারত সম্রাট ১অংশ স্বত্বের শ্রেনি মালিকী বর্ণনায় এবং খতিয়ানের নালিশী সম্পত্তিসহ পুকুর, পুকুরপাড় সাধারণের ব্যবহার্য লিপিবদ্ধ হয়ে সিএস পর্চা প্রকাশিত হয়। রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন প্রবর্তিত হইলে উক্ত সম্পত্তি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশ পক্ষে কালেক্টর নামে ১নং এমআরআর খতিয়ান প্রস্তুত করিয়া প্রকাশিত হয়। নালিশী পুকুর স্মরণাতীতকাল হতে অবিভক্ত ভারত সম্রাটের, পরবর্তীতে পুর্ব পাকিস্তানের সম্পত্তি। পরে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে বাংলাদেশ সরকারের খাস সম্পত্তি।
জনসাধারণের ব্যবহার্য উক্তরুপ সরকারি পুকুর বঙ্গীয় প্রজাতন্ত্র আইনে ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাতন্ত্র আইনের বিধান অনুসারে কোনভাবেই পত্তন বা স্থায়ী বন্দোবস্ত প্রদান গ্রহণযোগ্য নয়। উক্তরুপ কোন বন্দোবস্ত দলিল প্রকাশিত হলে তা বে-আইনীভাবে এবং প্রতারণামূলকভাবে অর্জিত হয়ে থাকবে। নালিশী সম্পত্তিতে বিবাদীদের কোন স্বত্ব সংশ্রব দখলাদি নাই। গত ২৮/০৩/২৩ ইং তারিখে বিবাদীরা নালিশী সম্পত্তি তাদের পিতার নামে আরএস খতিয়ান হয়েছে এমত প্রকাশ করে নালিশী সম্পত্তি ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসে গিয়ে তাদের পিতা মৃত কাশেম মৃধার নামে আরএস খতিয়ান প্রস্তত হওয়ার কথা প্রকাশ করে। পরে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে জানাইলে বাদী বিষয়টি জেনে জয়পুরহাট কালেক্টরেট মহাফেজ থানা হতে ০২/০৪/২৩ ইং তারিখে আর.এস খতিয়ানের জাবেদা নকল তুলে জানতে পারেন। উক্তরুপ আর.এস খতিয়ান ভ্রমাত্মক, বেআইনী ও প্রতারণার সৃষ্ট।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী বলেন, নালিশী জমি সায়রাত মহলের তালিকায় রয়েছে। এটি সরকারি খাস জমি যা আর.এস খতিয়ানে ব্যক্তির নামে রেকর্ডভূক্ত হয়েছে। এটি সরকারের পক্ষে পুনরায় রেকর্ডভূক্ত করার জন্য দেওয়ানী আদালতে মোকদ্দমা করা হয়েছে।