জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, সমাজ সেবক শিশু স্বর্গের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক জনাব মোঃ কবির আহম্মেদ আকন্দ।
জন্মদিন উপলক্ষে ২২জুন শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের শুভেচ্ছা বার্তা, ফুলেল শুভেচ্ছা, অফুরন্ত ভালোবাসা এরকম বার্তা লক্ষ্য করা যায়। এবং কবির আহম্মেদ আকন্দের সুন্দর ভবিষ্যৎ, সুস্থতা, দীর্ঘায়ুও কামনা করেছেন তারা।
এদিকে সকলের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে কবির আহম্মেদ আকন্দ বলেন: আজ আমি ছোট বড় সকলের যে ভালোবাসা পেয়েছি, তাতে আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। এভাবেই আজীবন সকলের মাঝে বেঁচে থাকতে চাই, আপনারা সকলেই দোয়া করবেন আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের জন্য।
৩নং তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদ করিম সিদ্দিকী বলেন,শিশুদের মুখে হাসি ফুটানোর জন্যই ২০০৮ সালে নিজের বেতনের একটা অংশ দিয়ে প্রান্তিক জনপদে ঝরে পড়া শিশুদের স্কুলগামী করতে শিক্ষাবৃত্তি চালু করে শিশুস্বর্গ প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক কবির আহম্মেদ আকন্দ,ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষায় আলোকিত করতে নিজের বেতনের একটা অংশ দিয়ে শিশুদের বই, খাতা, কলম দিয়ে শুরু হয় শিশুদের নিয়ে কাজ পরবর্তীতে যুক্ত হয় তারই প্রিয় ক্যাম্পাস জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। তাদের হাত ধরেই আজকের এই শিশুস্বর্গ ফাউন্ডেশন। তিনারা প্রতি ঈদে শিশুদের নতুন জামা ও নতুন টাকা দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটান। শুধু তাই না শীতের সময় শীত বস্ত্র এবং করুনাকালীন সময়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়াই ছিলো তার কাজ।
জানা গেছে, ২০১০ সাল থেকে দেশের উত্তরের প্রান্তিক অঞ্চলে অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে কাজ করে আসছে জাহাঙ্গীরনগর প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত শিশুস্বর্গ ফাউন্ডেশন। শিশুস্বর্গ প্রতিষ্ঠাতা করে জাবিয়ান কবির আহম্মেদ আকন্দ। তার হাত ধরেই প্রত্যন্ত অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামের ঝরে পড়া সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার আলো ছড়িয়ে বদলে দিয়েছে শিক্ষার পরিবেশ। শিশুস্বর্গ ফাউন্ডেশনের শিক্ষাবৃত্তিতে পড়ালেখা করছে ৬৫ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ২৫ জন শিক্ষার্থী দেশের নামদামি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে। অনেকে বিদ্যাপাঠ শেষ করে প্রবেশ করে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে।