স্টাফ রিপোর্টার:রাজশাহী জেলার চারঘাট থানাধীন শিবপুর গ্রামে ভাটা ব্যবসায়ীর কাছে মোটা অংকের চাঁদা না পেয়ে গত ০৬-৯-২০২৩ ইং তারিখ রাত্রি ১১:০০ ঘটিকায় দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘবদ্ধ একটি দল ভাটা ব্যবসায়ী মনজুরের বসত বাড়িতে আক্রমণ চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর, হামলা ও লুটপাতের ঘটনা ঘটায়। উক্ত অপরাধের প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি। অনুন্নপায় হয়ে মুনজুর রহমান গত ১১-৯-২০২৩ ইং তারিখে রাজশাহীর অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন আদালতে ৭ জনের নাম উল্লেখ্য সহ ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি মামলা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী ভাটা ব্যবসায়ী মুনজুর জানান, ঐ এলাকার চিহিৃত চাঁদাবাজ ফজলুর রহমান ও তার ছোট ভাই আকবর মুনজুরের ইট ভাটাতে এসে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা মুনজুরকে গালিগালাজ করে করে এবং দেথে নেবার হুমকি দামকি দেয়। এছাড়াও চাঁদা না দেবার কারণে প্রধান অভিযুক্ত ফজলুর ও তার ভাই আকবর ভুক্তভোগী মুনজুরকে নানাভাবে নিপিড়ন করে। উল্লেখ্য ২০২১ সালে অভিযুক্তদেও সাথে ঐ এলাকার বেশ কয়েকটি ইট ভাটার মালিক ও শ্রমিকদেও সাথে তাদের মারামারির ঘটনাও ঘটে। গত ০৬ সেপ্টেম্বও রাতে ফজলুর ও তার ভাই আকবর পচিশ ত্রিশজনের একটি সন্ত্রাসী দল নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মুনজুরের বাড়িতে আকস্মিভভাবে হামলা চালায়। ঐ হামলাতে বাড়িঘর ভাংচুর করা সহ ইট বিক্রির নগদ ৫ লাখসহ প্রায় সমমূল্যের সোনার গহণাও লুট করে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
স্থানীয় গ্রামবাসি তাদের ভয়ে মুখ খুলতে পারেনা। এছাড়াও স্থানীয় প্রশাসনের নিশ্চুপ ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ভুক্তভোগী মুনজুর ও তার চাচাতো ভাই সাদিম মোস্তফা রুমি। ভুক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার এই সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তাদের কাছে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন।