নিজস্ব প্রতিনিধি: ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক অর্থ ও প্রশাসন জসীমউদ্দীনের বিরুদ্ধে অফিস সহায়ক নারীকে নির্যাতন, যৌন হয়রানি ও সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করা হলেও অদৃশ্য শক্তির বলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন জসিম উদ্দিন। তার অপকর্ম ও যৌন হয়রানীর সংবাদ প্রচার করার পর সংবাদ বন্ধ করতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে যাচ্ছেন তিনি।
ডিডি জসিম এতটাই বেপরোয়া যে, নিজের মনগড়া ইচ্ছা শক্তিতে অর্থ প্রশাসন বিভাগ পরিচালিত করেন তিনি। সম্প্রতি স্টেশন অফিসার মেহেদী বদলি হলেও তাকে অনৈতিকভাবে নিজের কব্জা করে রেখেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই মেহেদীকে দিয়েই তিনি তার সকল অপকর্ম প্রতিষ্ঠা করেন তাই তার বদলির আদেশ হওয়ার পরেও ছাড়ছেন না জসিম।
যৌন হয়রানি ঘোষ দুর্নীতি ও আত্মহত্যা রচনার মত গুরুতর অভিযোগ থাকার পরেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে জসীমউদ্দীনের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফায়ার সার্ভিসের একটি সূত্র জানায়, ডিডি জসিমের নিকট প্রতিনিয়ত অসংখ্য বহিরাগত ব্যক্তিদের আনাগোনা রয়েছে, তাদের মধ্যে দালাল শ্রেণীর ব্যক্তি, কথিত রাজনৈতিক পরিচয়ধারি নেতা সহ অন্যান্য। তারা অফিস টাইমের অধিকাংশ সময়ই জসীমউদ্দীনের সাথে গোপন বৈঠক করে থাকেন। আগে তো ওইসব ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ কেউ সশস্ত্র (রিভলবার) নিয়েও ফায়ার সার্ভিস এর সদর দপ্তরের ভিতরে প্রবেশ করেন।
এছাড়াও যৌন হয়রানীর অভিযোগ করা ওই নারীকে মানসিক যন্ত্রণার মাধ্যমে আত্মহত্যার প্ররোচনা করেছেন জসিম উদ্দীন। ভুক্তভোগী নারী সুইটি বলেন, জসিম স্যারের অত্যাচার সইতে না পেরে আমি আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেই এবং মহাপরিচালক স্যারের বরাবর জসিমের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ লিখে তৎকালীন মিরপুর ট্রেনিং সেন্টারের প্রিন্সিপাল সালেহ উদ্দিন স্যারের নিকট জমা দেয় কিন্তু আমার দেয়া ওই লিখিত অভিযোগটি প্রিন্সিপাল স্যার জসিমকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে গায়েব করে ফেলেন যা অধিদপ্তরে প্রেরন করেন নাই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা জানায়, ডিডি জসিম উদ্দিন ফায়ার সার্ভিসের নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার আয়ের বহির্ভূত সম্পদ গড়েছেন। একজন নারী কর্মচারী কে যৌন হয়রানির মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিসের মত সেবা প্রদানকারী একটি সুশৃংখল বাহিনীকে কলুষিত করেছেন তিনি। এমন ঘৃণিত অপরাধের বিষয় তদন্ত সাপেক্ষে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা না হলে এই বাহিনীর শৃঙ্খলায় বিঘ্নিত হবে।
ডিডি জসীমউদ্দীনের বিরুদ্ধে ঘৃণিত এমন সব অপরাধ থাকার পরেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না কেন এ বিষয়ে ডিরেক্টর এডমিন মোহাম্মদ ওয়াহিদুল ইসলাম এর বক্তব্য জানতে তার দুটি মুঠোফোন নাম্বারে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
এসব অভিযোগের বিষয়ে ডিডি জসীমউদ্দীনের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।