নিজস্ব প্রতিবেদক:যারা ধর্মের নামে কাদিয়ানিদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন তারা ইসলামের শত্রু ও রাজাকারের উত্তরসূরী বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার (১২ মার্চ) বিকেলে পঞ্চগড়ের শেরে বাংলা পার্ক মুক্তমঞ্চে আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যারা ধর্মের নামে নারায়ে তাকবির বলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়, তারা ইসলামের শত্রু। তারা ইয়াজিদের উত্তরসূরী।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কখনও ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে বলেননি। অন্যের ঘরবাড়ি পোড়ানোর কথাও বলেননি। কাদিয়ানিদের ওপর হামলার ঘটনার পেছনে কাজ করেছে বিএনপি-জামায়াত। কারণ, সেদিন স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা ভেতরে ভেতরে উসকানি দিয়েছে। পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোটরসাইকেল নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার আগে শিবির পরিচালিত বাঁশের কেল্লা এবং কাদিয়ানি ঠেকাও নামে ফেসবুক পেজ থেকে উসকানি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ এবং রুমিন ফারহানার আইডি থেকেও উসকানি দেওয়া হয়।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়িতেও হামলা করেছে। ডিসি অফিস, এসপি অফিস এবং থানায় হামলার চেষ্টা করেছে। র্যাবের গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, ট্রাফিক অফিসে আগুন দিয়েছে এবং শহরের দোকানপাট ভাঙচুর করেছে। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যেভাবে সরকারি স্থাপনায় আক্রমণ করা হয়েছিল, ঠিক একই কায়দায় আহমদিয়াদের জলসাকে কেন্দ্র করে হামলা করা হয়েছে। মূলত কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঢাকা ও লন্ডন থেকে মনিটর করে ঘটানো হয়েছে।’
শান্তি সমাবেশের আগে তথ্যমন্ত্রী পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ফুলতলা শালশিরি এলাকায় কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের পুড়ে যাওয়া ও ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শন শেষে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।