এসএম রুবেল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় অধিকতর সেবা প্রদান করে চাঁপাইনবাবগঞ্জে উন্নয়নের মডেল ইউনিয়ন পরিষদে পরিনত হয়েছে দাইপুকুরিয়া। ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো.আলোমগীর রেজার নেতৃত্বে সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করে জনগণের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে। উন্নয়নের সুবিধা পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ইউনিয়নবাসী।

সঠিক নেতৃত্ব ও কর্মদক্ষতায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলোমগীর রেজা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে পরিষদের পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু হয়েছে। বর্তমান দাইপুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ যেন এখন ইউনিয়নবাসীর আশ্রয়স্থলে পরিনত হয়েছে।চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ইউনিয়নের সকল নির্বাচিত সদস্যরা মাদক,কিশোর গ্যাং দমন বাল্যবিবাহর বিরুদ্ধে সকলেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

সেইসাথে সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা দিতে ইউনিয়নবাসীকে প্রতি মুহূর্তে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকছে নির্বাচিত সদস্যরা। তারা নিজ নিজ ওয়ার্ডের অসহায় অক্ষম মানুষের জন্য বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা সরকারি সুযোগ সুবিধা জনগণের মাঝে বিলিয়ে দিচ্ছেন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে।

স্থানীয়রা বলছেন,এখন তারা অত্যন্ত সুখে শান্তিতে বসবাস করছেন। এটা শুধুমাত্র সম্ভব হয়েছে ইউপি চেয়ারম্যানের ইচ্ছাতেই। কারণ সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানে আমাদেরকে আর হয়রানি পোহাতে হচ্ছেনা। বয়স্ক প্রতিবন্ধী বিধবা ভাতার কার্ড টাকা দিয়ে বানাতে হয় না আমাদের ছিলো পূর্বে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার দর্পণ,শান্তি ফিরেছে অশান্তির জনপদে দাইপুকুরিয়া ইউনিয়নে এটি সম্ভব হয়েছে আলমগীর রেজা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর-পর থেকেই।

বয়স্ক ভাতার কার্ড পাওয়া আহমেদ আলী জানান,মাদকের বিরুদ্ধে আলোমগীর চেয়ারম্যানের ভূমিকা অত্যন্ত সাবলীল। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে তা দমন করেন এবং মাদক ব্যবসায়ীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করেন তিনি যা কখনো ছাড় দেননা না মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স এর স্লোগান নিয়ে সর্বক্ষণ মাঠে মাদক দমনে কাজ করে যাচ্ছেন।

যুবক ফয়সাল আজম অপু বলেন, গত ছয় বছরে দাইপুকুরিয়া ইউনিয়নের চিত্র পুরোপুরি পাল্টে গেছে। ছয় বছর আগে কেউ এখানে এসে থাকলে ও এখন আবার আসলে,আমি নিশ্চিত সেই ব্যক্তি বিভিন্ন সড়ক রাস্তাঘাট দেখে চিনতে পারবে না। কারন আলোমগীর চেয়ারম্যানের অবদানে এই এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আলোমগীর রেজা বলেন,আমি নির্বাচিত হওয়ার পর কয়েক হাজার বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় কয়েক কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। যা এখনো চলমান রয়েছে। আমি আলাদা সোনামসজিদ পানামাই ব্যবসা করি এর ভিতর থেকে যা রোজগার হয় অর্ধেকী বিলিয়ে দি আমার ইউনিয়নবাসীর জনগণের মাঝে। আমার ইউনিয়নে মাদকের বিরুদ্ধে আমি যেভাবে কাজ করে যাচ্ছি,তা এলাকার সাধারণত মানুষ তা জানে। এমনকি এই কাজে ইউনিয়নের জনগনও আমাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে। তাই আমিও আমি ইউনিয়ন বাসীর সেবা করে আমি বেঁচে থাকতে চাই।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো.বাদশা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশ। এর সাথে তাল মিলিয়ে দাইপুকুরিয়া ইউনিয়নে উন্নয়নের ব্যাপক ছোঁয়া লেগেছে। আশা করি ইউপি চেয়ারম্যান আলোমগীর রেজার নেতৃত্বে তা অব্যাহত থাকবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. শামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল বলেন,আমি নির্বাচিত হওয়ার পর শিবগঞ্জে সবচেয়ে যে দুটি ইউনিয়নে উন্নয়ন হয়েছে,তার মধ্যে একটি দাইপুকুরিয়া। এটি সম্ভব হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলোমগীর রেজার কারনেই। তার দক্ষ নেতৃত্ব ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার মানসিকতা ইউনিয়নের ব্যাপক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।