ইকরা
রাজধানীর খিলগাঁও ও রামপুরা সহ প্রতিটি থানায় বর্তমানে অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং অযোগ্যতা পূর্ণ উক্তি বয়সী ছেলে এবং মেয়েদের কে তাদের যোগ্যতা ও বয়স বিবেচনা না করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সহ অন্যান্য অংগসংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদবী নিয়ে যারা সমাজে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিকতা ও দলের সুনাম এবং পরিচিতি নষ্ট করার পিছনে যাদের উপরের বড় ভাইরা কাজ করছেন ( গড ফাদার) তাদের জন্যই আজ বর্তমানে কিশোরগ্যাং, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ এবং সন্ত্রাসী গং দের হাতে সমাজ জিম্মি হয়ে পরেছে। ফলে, আমাদের যে কোনো দলের লোক জন হোক না কেনো তারা নিজেদেরকে মাফিয়া ডন ভেবে উক্ত বড় ভাইদের খুশি করার জন্য একের পর এক কর্মকান্ড চালিয়ে গেলেও অদৃশ্য কারনে উক্ত নেতা নেত্রীরা ছাড়া পেয়ে যায়। তেমনি একটি প্রমান সম্প্রতি ঘটে যাওয়া রাজধানীর রামপুরার ছাত্রলীগের উচ্চ পদবী প্রত্যাশি খালিদ সাইফুল্লাহ ফরিদ ঘটিয়েছে। তিনি একজন আওয়ামী ছাত্রলীগের কর্মী হয়ে তারি প্রেকিমা এবং পরবর্তী তে তারি স্ত্রী রুবাইয়া পারভীন রীতিকে যেভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন এবং খিলগাঁও থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পরেও অদ্শ্য শক্তির বলে জামিন পেয়ে যান এইটা কি?? এটা প্রহসন মাত্র নয় কি???
গত ১৩/০৩/২০২৩ ইং তারিখে ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক রুবাইয়া পারভীন রীতি [ (২৮), জাতীয় পরিচয় পত্র নং -১৯০৪৩২০৬৬৮, জন্ম তারিখ-০৯/১০/১৯৯৪ খ্রিঃ, পিতা- সেলিম রেজা, মাতা- মৃত নুরজাহান পারভীন, সাং উত্তর বুরুজবাগান, থানা-শার্শা, জেলা- যশোর, এ/পি, বাসা নং -২৩, রোড নং -৩, ব্লক- জি রামপুরা বনশ্রী, থানা খিলগাঁও ] এর সাথে খালিদ সাইফুল্লাহ ফরিদ [ (৩০), পিতা-সাইফুল্লাহ, মাতা-নূরজাহান, সাং- দূর্গাপুর কাঠগড়া বাজার, থানা- আশুলিয়া, জেলা-ঢাকা, এ/পি বাসা নং ৪৫, রোড নং-০১, ব্লক-ই, রামপুরা বনশ্রী, থানা রামপুরা ] এর বিবাহ হয়। রীতি সাংবাদিকদের জানান যে, বিয়ের পর খালিদ সাইফুল্লাহ ফরিদ কখনই তার নিজ বাড়িতে রীতি কে নিয়ে যাননি। রীতি তার বাবার বাসায় থাকতেন এবং খালিদ সাইফুল্লাহ ফরিদ তাদের বাসায় নিয়মিত আসা যাওয়া করত। বর্তমানে রীতি আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিবাহের কিছুদিন পর হতে ফরিদ যৌতকের জন্য রীতির উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে। রীতিকে প্রতিনিয়ত হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায় ফরিদ এবং বলে যৌতুকের টাকা এনে দিলে তবেই সে রীতিকে ঘরে তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করবে। রীতি তার সংসারের কথা চিন্তা করে নিজ পরিবার নিকট হতে ১,০০,০০০/-( এক লক্ষ) টাকা যৌতুক হিসেবে ফরিদকে এনে দেয়। উক্ত টাকা পাওয়ার পর ফরিদ বেশ কয়েকদিন চুপ ছিলো কিন্ত কিছুদিন পর ফরিদ পুনরায় যৌতুকের জন্য রীতির উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। গত ১৮/০৭/২০২৩ ইং তারিখে বিকাল আনুমানিক ০৫.০০ ঘটিকার সময় রীতির বর্তমান ঠিকানার বাসায় এসে ফরিদ আবারো যৌতুকের ১,০০,০০,০০০/-( এক কোটি) টাকা রীতির পরিবারের নিকট হতে এনে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে রীতি উক্ত যৌতুকের টাকা এনে দিতে অস্বীকার জানায়। তখন খালিদ সাইফুল্লাহ ফরিদ ক্ষিপ্ত হয়ে রীতিকে এলোপাথাড়িভাবে কিল-ঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে এবং তার পেটে লাথি মেরে ফেলে দিলে রীতি প্রচন্ড আঘাত প্রাপ্ত হন এবং সাথে সাথেই রীতির ব্লীডিং শুরু হয়। রীতি চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহন করে তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান তার পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে।
উক্ত বিষয় খিলগাঁও থানায় রীতি একটি লিখিত অভিযোগ জানায় যার মামলার নাম্বার ৬৯, ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০( সংশোধনী /০৩) এর ১১ ( গ) তৎসহ ৩১৩ পেনাল কোড ১৮৬০।
দুঃখজনক হলেও এটাই সত্য যে, উক্ত বিষয় খালিদ সাইফুল্লাহ ফরিদকে খিলগাঁও থানা গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও ১ দিন পর কোট হতে আদালত তাকে অদৃশ্য শক্তির বলে তাকে খালাস দিয়ে দেন । দেশবাসীর বক্তব্য যে, সরকারি দল করলেই কি বড় বড় ধরনের অনৈতিক এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে সেই পূর্বের চরিত্রে ফিরে আসবে?? তাহলে কি আইন প্রশাসন প্রহসনের পাত্র? বিচার পাবেনা এই দেশের কোনো ভুক্তভোগী? কথায় বলে অর্থ যার আইন তার তাহকে কি এটাই প্রমানিত প্রশ্নটি ভুক্তভোগী রুবাইয়া পারভীন রীতির প্রশ্নটি দেশবাসীর ।