শার্শা বেনাপোল প্রতিনিধি:দীর্ঘদিন ধরে প্রতরণা মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে নগত টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল মিলন ও তুহিন নামে দুই সহোদর। এবার তাদের অভিনব প্রতরণার বিষয়টি ধরা পড়েছে জনসস্মুখে। এই নেক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের শার্শা উপজেলার বেলতলা বাজারে।
জানা গেছে, মিলন ও তুহিন দুই সহোদর বিভিন্ন সময় গ্রামের একাধিক সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে প্রলোভন দেখিয়ে চার লক্ষ্য দশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে তারা পাওনা টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন ভয়-ভীতি ও হুমকি দেখায়। ঐ সময় পাওনাদাররা সমাজের বিচারকদের কাছে দারাস্ত হয়েও টাকা আদায় করতে না পেরে অবশেষে সাংবাদিক সম্মেলন করে। সেই সয়ম দুই সহোদর এর নামে দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যম একুশে টিভির অনলাইন’সহ বেশ কয়েকটি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার হয়। এতেই দুই সহোদর পাওনাদারদের উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে ০১/০৮/২০২২ সালে পাঁচজন পাওনাদার ও স্থানীয় একজন সাংবাদিকের নামের মানহানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে ‘সাইবার ট্রাইবোনাল’ খুলনার আদালতে মামলা দায়ের করে। যাতে প্রধান অভিযুক্ত করা হয় স্থানীয় সাংবাদিক মো. সোহাগ হোসেনকে।
অবশেষে গত (৫ আগস্ট) ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের রাজনীতির পট পরিবর্তনের কারণে সমাজে বিচার হীনতার সাংস্কৃতি বিলুপ্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২৫/০৮/২০২৪ তারিখে সেই পাঁচজন পাওনাদার তাদের টাকা পাওয়ার আশায় শার্শার বাগুড়ী গ্রামের সমাজের বিচারকদের কাছে একটি অভিযোগ দেয়। অভিযোগের ভিত্তিতে বিচার বিশ্লেষণ করে প্রায় দুইশত মানুষের মাঝে স্বীকার করে প্রত্যেকের কাছ থেকে তারা টাকা নিয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতার দাপটে এতদিন দুই সহোদর অস্বীকার করে আসছিল।
বাগুড়ী বেলতলা গ্রামের মাহামুদ সরদার, হামিদ গাজী, আমজেদ হোসেন, নান্নু, হাই গাজী, ও আব্দুল রাজ্জাক জানান, মিলন ও তুহিন দুই সহোদর শিকার করেছে তাদের কাছে প্রত্যেকে টাকা পায়। তারা দুই কিস্তিতে প্রত্যেকের পাওনা টাকা পরিশোধ করবে, এবং তাদের দায়ের করা মিথ্যা মামলা তুলে নিবে। এই মর্মে একটি স্টামে দুই সহোদর স্বাক্ষর করে।